পাবনা প্রতিনিধি: ১৮ দলীয় জোটের ১৩১ ঘন্টা অবরোধের ৪র্থ দিন মঙ্গলবার পাবনার বিভিন্ন মহাসড়কে গাছ ও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। অবরোধের সমর্থনে পাবনা শহরে বিশাল মিছিল করে ১৮ দলীয় জোট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের রাজাপুর, ক্যালিকো, ধোপাঘাটা, বাঙ্গাবাড়িয়া, পুষ্পপাড়া, মধুপুর, কোলাদী এবং ঈশ্বরদী উপজেলার কুষ্টিয়া-ঢাকা মহাসড়কের দাশুড়িয়া, কোলের কান্দী বটতলা, ঈশ্বরদী রেলগেট, গোকুল নগরসহ বিভিন্ন পয়েন্টে গাছের গুড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে ১৮ দলের নেতা কর্মীরা। মধুপুরে গাছের গুড়ি তুলতে গেলে অবরোধকারীদের ধাওয়া খেয়ে আতাইকুলা থানা পুলিশ পালিয়ে যায়।
শহরে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা ১৮ দলীয় জোটের যুগ্ন আহবায়ক ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুর রহীম, যুগ্ন আহবায়ক ও জেলা বিএনপি’র সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান তোতা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান, জেলা ১৮ দলীয় জোটের সদস্য সচিব অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম মুসা, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খান, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের পাবনা জেলা সভাপতি রওশন আলম, পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব তৌফিক হাবিব, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী ফজলুর রহমন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি হিমেল রানা, সেক্রেটারী তসলিম হাসান সুইট, শহর শিবির সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সেক্রেটারী মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়া ঈশ্বরদী উপজেলা ১৮ দল ঈশ্বরদী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিশাল মিছিল করে। ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুদ্দিন মালিথা ও উপজেলা জামায়াতের আমীর জোবায়ের খান নেতৃত্ব দেন।
অবরোধে দুরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। অভ্যন্তরিন রুটেও কোন যান চলাচল করেনি। অফিস আদালত ছিলো একেবারেই জনমানব শুন্য। সাধারন মানুষের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। নাশকতার আশংকায় রাতে ভাংগুড়া উপজেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারী অধ্যাপক তৈয়ব আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
