আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘির বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর শিরিন আক্তারকে পায়ের রগ কেটে ও শ্বাসরোধে হত্যা সংক্রান্ত মামলার আসামী সেনগুপ্তের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। সোমবার বগুড়াস্থ আদমদীঘির জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিলে বিচারক এ আদেশ দেন। সেনগুপ্ত (৩৫) আদমদীঘির কুসুম্বী গ্রামের শ্রী সন্তোষ ঘোষের পুত্র। সে দীর্ঘদিন জামিনে মুক্ত ছিল। এ মামলায় অপর আসামী বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ী সরকার পাড়ার মনিরুজ্জামানের পুত্র শাকিল হোসেন সরকার (২৮) পলাতক, দুপচাঁচিয়া গ্রামের বাটাহার কনকাই গ্রামের হাজি খয়বর আলী ফকিরের পুত্র আহাদ আলী ওরফে আহাদ ফকির জেল হাজতে ও আদমদীঘির তালশন গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র সোহেল ইবনে করিম (৩৫) সম্প্রতি আদালত কতৃক জামিনে মুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে আদমদীঘির ডুমুরী গ্রামের আজিজার রহমানের কন্যা কলেজ ছাত্রী শিরিন আক্তারকে তার প্রাক্তন স্বামী ও সহযোগীরা বাসা থেকে কৌশলে বাহিরে এনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্বাসরোধে ও দু’টি পায়ের রগ কেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিরিন আক্তারের পিতা বাদী হয়ে তালশন গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র শিরিনের ডিভোর্সি স্বামী সোহেল ইবনে করিম সহ অজ্ঞাত আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ প্রধান আসামী ডির্ভোসি স্বামী সোহেল ইবনে করিম. কুসুম্বী গ্রামের সেনগুপ্ত ও দুপচাঁচিয়ার আহাদকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সোহেল ইবনে করিম আদালতে ১৬৪ ধারায় অপর সহেেযাগীদের নাম প্রকাশ ও গুরুত্বপূর্ন তথ্য প্রদান করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়। শিরিন আক্তার সাড়ে ৮ মাস পিত্রালয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ২৬ আগষ্ট ভোরে নিজ বাসায় মারা গেলে থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়। এই মামলার তদন্ত শেষে উল্লখিত ৪ জনকে অভিযুক্ত আসামী করে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আব্দুল মোতালেব গত ৭ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
