ads

সোমবার , ২ ডিসেম্বর ২০১৩ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

রাজশাহীর চরাঞ্চলে আগাম জাতের পেঁয়াজের বাম্পার ফলন

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
ডিসেম্বর ২, ২০১৩ ১:১৯ অপরাহ্ণ

piyazওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী : রাজশাহীর বাঘায় চরাঞ্চলে আগাম জাতের পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে নতুন পেয়াজের চাহিদা থাকায় দামও বেশ ভাল পেয়ে চাষিরা খুশি। তাই পেঁয়াজ তুলতে চাষিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পেঁয়াজ উত্তোলন ও বাজারজাতকরণে চরের শত শত শ্রমিক কাজ করছে। বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ২শ টাকা থেকে দুই হাজার ৫শ টাকায়। কিন্তু প্রতি মণ পেঁয়াজের গড় উৎপাদন খরচ হয়েছে ৮শ থেকে এক হাজার ৫০ টাকা। ফলে খরচ বাদ দিয়ে উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করে মন প্রতি এক হাজার টাকা ঘরে আসছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে প্রায় ২০০ একরের বেশি জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। তবে এবছর দুই হাজার ২৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। চক রাজাপুর চরের খোয়াজ সিকদার জানান, চলতি মৌসুমে যারা পেঁয়াজ আবাদ করেছে ইতোমধ্যে তারা উত্তোলন শুরু করেছে। এবছর ১০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন খরচ হয়েছে দুই লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে দেড় বিঘা জমির আগাম জাতের পেঁয়াজ উঠানো হয়েছে। দামও ভাল পেয়েছি। পলাশি ফতেপুর চরের এনাত হোসেন (৬৫) বলেন, বিভিন্ন এনজিও ও মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পেঁয়াজ আবাদ করেছি। পেঁয়াজ তুলে তাদের টাকা পরিশোধ করব। টিকটিকিপাড়া চরের আঞ্জু মোল্লা বলেন, সরকার বাজার দর কমানোর কথা বলেছেন। কিন্তু পেঁয়াজের যে দাম আছে সেটা না থাকলে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে চাষিদের। কারন অন্যান্য দ্রব্যে ও সার কীটনাশক ঔষুধের দাম আগের মতই আছে। পলাশি ফতেপুর চরের মহিলা শ্রমিক জয়গন বেগম, পারভীন আক্তার, নাসিমা বেগম বলেন, চলতি মৌসুমে আগাম জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন করে চরের অধিকাংশ চাষিরা লাভবান হবেন। পাশাপাশি আমরা কাজ করে দু/চার টাকা রোজগার করে সংসার চালাতে সুবিধা হচ্ছে। তাই এবছর পেঁয়াজের দাম ভাল পাচ্ছে চাষিরা। ফলে আমরাও কাজ করে সাথে সাথে মজুরি পেয়ে খুশি।
চকরাজাপুর চরের পেঁয়াজ চাষি বাবলু দেওয়ান বলেন, গত বছর ১০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এবছর পেঁয়াজ চাষ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর ১৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। এবার বম্পার ফলন হয়েছে। গড়গড়ি ইউনিয়নের চরের স্থানীয় মেম্বার রেজাউল করিম বলেন, গত বছর পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে এবছর অনেকে পেঁয়াজ চাষ কমে দিয়েছে। গত বারের কথা না ভেবে এবার যারা বেশি করে পেঁয়াজ চাষ করেছে তারা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। বাঘা হাটের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নজমুল হোসেন জানান, মোকামে পেঁয়াজের যথেষ্ঠ চাহিদা থাকায় স্থানীয় বাজারে পাইকারী ক্রেতার সংখ্যাও এবার বেশি। ফলে পেঁয়াজ নিয়ে কৃষকদের কোন চিন্তা নেই। সরকার যদি এলসি ও ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসে তাহলে চাহিদা ও দাম থাকবে।  আড়ানী হাটের ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, ঢ্যামনা ও চারা পেঁয়াজ নামে দুই ধরনের পেঁয়াজ এলাকায় চাষ হয়ে থাকে। চারা পেঁয়াজের চারা পেঁয়াজ দীর্ঘ সময় মৌজুদ রাখা যায়। এই পেঁয়াজ বেশি আবাদ হয় উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে। এই ধরনের পেঁয়াজের বাজার থাকলে আগামীতে উৎপাদনে মনোযোগী হবেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম খান বলেন, এ বছর উপজেলা সর্বত্র কম বেশি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। উপজেলার দুটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নে যে পরিমান পেঁয়াজ চাষ হয়েছে তার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে শুধু পদ্মার চরাঞ্চলে। গত বছরের চেয়ে এবছর ভাল দাম পাচ্ছে কৃষকরা।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!