মশিউর রহমান পিংকু, ভোলা : ভোলায় বিএপি নেতাদের আটকের প্রতিবাদে নামা বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা কর্মীদের সংর্ঘষে সদর রোড ও আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। এ সময় বিএপি‘র কর্মীরা ব্যাপকভাবে ইট ও ককটেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অর্ধশতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০ পুলিশ ও ২ সাংবাদিক সহ আহত হয় অর্ধশত। ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিনে সোমবার দুপুর ১টায় এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধ চলাকালে সদর উপজেলার বেপারী বাজার এলাকায় বিএপি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ সেখান থেকে থানা বিএপি’র যুগ্ম-আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান আবু নোমান, যুবদল নেতা রফিক, যুবদল কর্মী কামাল, জব্বার, আনিস মাল ও অহিদকে আটক করে। এর প্রতিবাদে শহরের মহাজন পট্টি দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় বিএপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে বৃষ্টির মত ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে এবং শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে বিএপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ বিএপির নেতা- কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে অর্ধশতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষে সদর রোড, ওয়েষ্টার্ণ পাড়া, সার্কুলার রোড, মহাজন পট্টি রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। আতংকে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।
বিএপির পক্ষ থেকে দাবী করা হয় সংর্ঘষে জেলা বিএপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক হারুন-অর রশিদ ট্রুম্যান, পৌর কাউন্সিলর ও বিএপি নেতা হুমায়ূন কবির সোপান, জেলা যুবদল সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম কায়েদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল, সহ-সভাপতি কবির হোসেন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি খন্দকার আল আমিন, পৌর ছাত্রদল সহ-সভাপতি মামুন, বেলাল পাটোয়ারী, রহমান, শাওন, উজ্জলসহ শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়েছে। এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সময় টিভির ক্যামেরাম্যান উৎপল ও চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের ক্যামেরাম্যান বিপ্লব গুরুতর আহত হন। তাদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও সংর্ঘষে ১০ পুলিশ আহত হওয়ার খবর পওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চি করে ভোলার পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত রয়েছে। শহরে বিপুল সংখ্যক আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
