নাটোর সংবাদদাতা : নাটোর শহরের কানাইখালী ফায়ার স্টেশনের সামনে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সুজন (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। সুজন কানাইখালী মহল্লার সালামত আলীর ছেলে। সে যুবদলের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি। সংঘর্ষে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। ২ ডিসেম্বর সোমবার সকালে বিএনপির নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদারের মুক্তির দাবিতে নাটোর জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ুহরতালের সমর্থনে বেলা ১১টার দিকে আলাইপুর এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে কানাইখালী এলাকার দিকে আসছিলেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বেলা সোয়া ১১টার দিকে মিছিলটি উত্তরা সুপার মার্কেটের সামনে আসলে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন। ওইসময় অন্তত: দু’জন আহত হন। সংঘর্ষের খবর কানাইখালী এলে সেখানে আগে থেকেই অবস্থানরত বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একই সময় ওই এলাকা দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম তাঁর সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন। হরতালকারীরা তাঁদের বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।কানাইখালী ফায়ার স্টেশনের সামনে সংঘর্ষের একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুজন নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। নাটোরের ব্যাপিস্ট মিশন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাটোর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় সুজন নামের এক যুবক গুলিবদ্ধ হয়ে মারা যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ।
