শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বিরোধী দলের ডাকা হরতাল-অবরোধে একের পর এক নাশকতায় হতাহতের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেতা গণহত্যায় নেমেছেন। তিনি ১ ডিসেম্বর রবিবার অবরোধে বোমাবাজি ও বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দেখতে গিয়ে ওই কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, এটা সহিংসতার মাধ্যমে গণহত্যা। যেভাবে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো হয়, এটা গণহত্যা ছাড়া আর কি হতে পারে?
ওই সন্ত্রাস বন্ধে যতটা কঠোর হওয়া প্রয়োজন, সরকার তা হবে বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, যারা ইন্ধন দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রবিবার বিকেল ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছান এবং চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজ-খবর নেন। এসময় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সবার চিকিৎসার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরাও অনেক আন্দোলন, অনেক সংগ্রাম করেছি। তার মানে এই নয় যে, এভাবে নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা বা মারার চেষ্টা করতে হবে। এভাবে মানুষ হত্যা করে বিএনপি জামায়াত কি অর্জন করবে- এমন প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, এই আন্দোলন এই রাজনীতি আমি দেখিনি। এটা কোন রাজনীতি নয়, কোন আন্দোলন নয়। এটা সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ওইসব নাশকতার ঘটনায় মারাত্মক আহতদের চিকিত্সার জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার কার্যালয়ের একজন পরিচালককে অগ্নিদগ্ধদের চিকিত্সার সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, দগ্ধ রোগীদের জন্য যেসব বিদেশি ওষুধ সরকারিভাবে সরবরাহ করা হয় না, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওইসব ওষুধের খরচ মেটাবেন। বার্ন ইউনিটে চিকিত্সাধীন সবার জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদানও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত, ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের পরিচালক সামন্ত লাল সেন, সাংসদ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক জুলফিকার আলী।
