তাপস চন্দ্র সরকার, চট্টগ্রাম উত্তর : রবিবার বিকেল সোয়া ৪টার সময় কুমিলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দেবময় দেওয়ানের নিকট মনোনয়পত্র দাখিল শেষে সর্বদলীয় সরকারের রেলপথ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব বলেন- সেবার মনোভাব নিয়ে বিগত ৫বছর যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি চৌদ্দগ্রামের আপামর জনসাধারণ সত্যের ও ন্যায়ের পক্ষে থেকে আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করবে আমার বিশ্বাস। কারণ শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৪গ্রামে কোটি কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছি সেহেতু চৌদ্দগ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে। তিনি বলেন, সেবা যেহেতু শতভাগ করেছি আলাহর রহমতে বিজয় নিশ্চিত। মুজিব আরও বলেন, বিএনপিসহ ১৮দল যদি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে তাহলে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচন হবে। আমার বিশ্বাস তারা নির্বাচনে আসবে। তখন আমি জনগনের সুচিন্তিত রায় মেনে নিবো। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জয়ী হলে চৌদ্দগ্রামবাসীর ন্যায় সঙ্গত সকল দাবী পূরণ করবো। তিনি চৌদ্দগ্রামবাসীর নিকট নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে দোয়া কামনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চৌদ্দগ্রাম পৌর চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ আক্তার, চেয়ারম্যান শাহ জালাল মজুমদার, আওয়ামীলীগ নেতা সাছুউদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুউদ্দিন আহম্মেদ সেলিম, সাবেক চেয়ারম্যান আলী হোসেন সহ তাঁর প্রস্তাবক ও সমর্থনকারীরা। এর আগে মুজিবুল হক মুজিব চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামে মসজিদে মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত সকলের নিকট দোয়া চান।
এদিকে চৌদ্দগ্রাম যাওয়ার পথে সদর দক্ষিণ উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের লালবাগ রাস্তার মাথায় সর্বদলীয় সরকারের রেলপথ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব বলেন- আগামি ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন তপছিল ঘোষণা করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে কুমিলা চৌদ্দগ্রাম নির্বাচনী এলাকা (কুমিলা-১১) থেকে মনোয়ন দিয়েছেন। এ মনোনয়ন পত্র নিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরী করে আমি নিজ নির্বাচনী এলাকা চৌদ্দগ্রাম যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমার মনোনয়ন পত্র দাখিল করবো। নির্বাচনী আচরণবিধিতে যা আছে তা শতভাগ মেনে চলবো। সর্বদলীয় সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে নির্বাচনী আচরণ বিধি ও নীতিমালা মেনে আমি চলবো। কুমিলার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ রাস্তার মাথা থেকে আমার নির্বাচনী এলাকা শুরু। এর আগে আমি সরকারী গাড়ী ছেড়ে আমার ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় রওনা দিয়েছি এবং মন্ত্রী হিসেবে জাতীয় পতাকা নির্বাচনী এলাকায় উড়ানো বিধান না থাকায় জাতীয় পতাকা বন্ধ করে নিজস্ব গাড়ী নিয়ে চৌদ্দগ্রাম যাচ্ছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত নিয়মমাপিক যা কিছু আছে তা মেনে চলবো। এখন থেকে আমি সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা ভোগ করবো না, সার্কেট হাউজে যাবো না এবং আমার সাথে পিএস ও এপিএস থাকবে না। তিনি আরো বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চৌদ্দগ্রামবাসীর রায় নিয়ে জয় লাভ করে এ দেশের মানুষের খেদমত করবো। প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ ১৮দলকে আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করারও আহবান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান। আমরা যারা সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রী হিসেবে আছি আমরা নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে নির্বাচন কমিশনকে আমরা সহযোগিতা করবো।
