জাকির হোসেন, ছাতক (সুনামগঞ্জ) : কোম্পানীগঞ্জ হাওরে সরকারি জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরনের উদ্যোগ নিলে কয়েক হাজার একর বোরো জমি হুমকির মুখে পড়েছে। জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরনের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্তে¡ও কোম্পানীগঞ্জের কতিপয় স্বার্থান্বেষি লিজ গ্রহনকারী প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বোরো মৌসুমেও পাম্প দিয়ে জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরনের উদ্যোগ নেয়। বোরো জমির ফসল রক্ষায় ছাতকের তাতিকোনা গ্রামের আশিক আলী, আঞ্জব আলী, নুর উদ্দিন, আব্দুল হেকিম, আব্দুল আউয়াল, মোগলপাড়া গ্রামের হারিছ মিয়া, খুশিদ মিয়া, চরেরবন্দ গ্রামের আব্দুল হান্নান, আব্দুস সাত্তার, আজাদ মিয়া, মন্ডলীভোগ গ্রামের আব্দুর রশিদ, বৌলা গ্রামের ময়না মিয়া, আব্দুল কবির, বাগবাড়ি গ্রামের আলহাজ্ব মনির মিয়া স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ গত বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জের লামনিগাঁও মৌজায় সাতবিলা জাওর নামক হাওরে ছাতকের বৌলা, তাতিকোনা, চরেরবন্দ, মোগলপাড়া, মন্ডলীভোগ, বাগবাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের কয়েক হাজার একর বোরো জমি রয়েছে। এসব জমির মধ্যে জলমহাল থাকায় চাষাবাদের ক্ষেত্রে জলমহালের পানি ব্যবহার করে আসছে কৃষকরা। চলতি বছর বোরো ফসল রোপনের আগেই কোম্পানীগঞ্জের পুটামারা গ্রামের নাসির উদ্দিন ও ছয়ফুলসহ লোকজন সরকারি এসব জলমহাল থেকে জলাশয় শুকিয়ে মৎস্য আহরনের চেষ্টায় একাধিক পাম্প বসিয়েছে। ফলে এখানের কয়েক হাজার বোরো জমি হুমকির মুখে পড়ায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন ভূমি মালিক ও কৃষকরা।