ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় শিক্ষকের উপর অভিমানে ৫ম শ্রেনীতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার শিবনগর গ্রামে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রির্পোট শেষে মর্গে প্রেরন ও শিক্ষকের স্ত্রীসহ ২ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শিবনগর গ্রামের শিক্ষক নীল কোমল রায়ের নাতনি মিতা মন্ডল গৌরী (১২) নীজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আতœহত্যা করেছে। সে ওইদিন সকালে প্রাইভেট শিক্ষক সুকদেব মন্ডলের কাছে পড়তে যায়। সেখান থেকে ফিরে এসেই সে আতœহত্যা করে। স্থানীয় যুবক দিজেন্দ্রনাথ সানাসহ অনেকেই জানান, মেয়েটির সাথে ওই শিক্ষকের প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠায় প্রায়ই স্যারের স্ত্রী মেয়েটিকে গালাগালি করতো। ওইদিনও তাকে গালি দেয়। মেয়েটির বাবা সরজিত মন্ডল ও মা মায়া রানি কান্না জগিত কন্ঠে জানায়, পেটের জ্বালায় আমরা মিতাকে বাপের বাড়ি রেখে ঢাকায় একটি পোষাক কারখানায় দুজনেই কাজ করি। এখন কি করে এবং কেন মরে গেছে তা এখন বলতে পারছি না।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মহসিন আলী জানান, গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্রী মিতার লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রাইভেট শিক্ষক সুকদেব মন্ডল(৩৮) ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।