ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : ধামইরহাটে ধানের নকল বীজ কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নকল বীজ ও ২ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অর্থদন্ড প্রদান ও বিভিন্ন ব্যান্ডের প্যাকেট পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তবে মূল আসামীরা পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, ২৭ নভেম্বর বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ টিম উপজেলার খাদ্য গুদামের সামনে অবস্থিত মৌসুমী বীজ ভান্ডার ও মেসার্স কৃষি বীজ ভান্ডারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ধানের নকল বীজ উদ্ধার ও বীজ প্যাকেটজাত করণের বিভিন্ন উপকরণ আটক করে। ওই সব বীজ ভান্ডারের মালিক দুই সহোদয় ভাই মো. খায়ল বাশার ও খাদেমুল ইসলাম পালিয়ে থাকলেও খায়রুল বাশারের স্ত্রী ও বাবা কমেজ উদ্দিনকে আটক পূর্বক থানায় নেয়া হয় এবং অর্থ দন্ডের পরে ছেড়ে দেয়া। এছাড়াও অভিযান চলাকালে কয়েকটি গুদাম ও বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে স্থানীয়ভাবে সংগৃহিত প্রায় ৩০-৩২ মণ জিরাশাইল ধান,গম ও সরিষার নকল বীজ ও দেশের বিভিন্ন নামিদামী বীজ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করা কয়েকশত ছোট ছোট বস্তার ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। নামিদামী কোম্পানীর সিল মেরে ওসব ধান ব্যাগে ভরিয়ে ওই সব কোম্পানির নাম ব্যবহার করে এলাকার উচ্চ ফলনশীল বীজ হিসেবে বিক্রয় করছিল ওই দুই বীজভান্ডার মালিক। পরবর্তীতে আটককৃত ধান,গম ও সরিষা প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয় এবং ওই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। পরে আটককৃত নকল বস্তা পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হেমায়েত উদ্দিন জানান, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব নকল বীজ উদ্ধার করা হয়।” উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড.জামাল উদ্দিন বলেন, কৃষকরা যেন নকল বীজ কিনে প্রতারিত না হতে পারে সে ব্যাপরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে ওই দুই বীজ ভান্ডারের মালিক বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এদিকে অভিযান চালানের জন্য উপজেলাবাসী ও ভুক্তভোগী হাজারও কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেমায়েত উদ্দীনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।