ads

বৃহস্পতিবার , ২৮ নভেম্বর ২০১৩ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ : পুলিশসহ আহত ২০

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ২৮, ২০১৩ ১২:৫২ অপরাহ্ণ

Comilla mapতাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে পুলিশ ও ১৮দলীয় জোটের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ অন্তত: ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। ২৭ নভেম্বর বুধবার সাড়ে ১২টার দিকে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৮ দলীয় জোটের আহবানে সারা ৪৮ ঘন্টা অবরোধ কর্মসূচী চলাকালীন সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ১শ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা-মুরাদনগর-দাউদকান্দি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ইলিয়টগঞ্জে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘন্টা দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ঘটে। অবরোধকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রায় ৫০/৬০ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় পুলিশসহ ৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষের পরপরই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষে ৫ পুুলিশসহ ২০ জন আহত হয়। এ সময় পুলিশ ৬ পিকেটারকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে সোহেল, আল-আমিন, আবুল কালাম ও তিনজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা হলেন- ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন জীবন, ছাত্রদল কর্মী রুহুল আমিন, মিজান, শাহজালাল, শরীফ, আনিছ আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম, ৫ পুলিশ কনস্ট্রেবল ও এক নারী পথচারী জোৎøা বেগমসহ ২ জন। বাকীদের নাম পাওয়া যায়নি। তবে এদের মধ্যে কেউ মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত নয়।
কুমিল্লা উত্তর জেলা জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস) নেতা এস.এম মিজান জানান, দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকালে চান্দিনা, মুরাদনগর ও দাউদকান্দি উপজেলার ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ইলিয়টগঞ্জ বাজার এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সার্বিক) আবুল ফয়সাল জানান, ইলিয়টগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরা তাদের দায়িত্ব পালন কালে হঠাৎ অবরোধ সমর্থনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
এদিকে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা সকালে নগরীর শাসনগাছায় চলন্ত যানবাহনে ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং একটি দোকানে আগুণ দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে অবরোধকারীরা। নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া, নাঙ্গলকোট, লাকসাম, বরুড়া, মুরাদনগর, দেবিদ্বার অবরোধকারীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।
বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম, পদুয়ার বাজার, আলেখারচর বিশ্বরোড, চান্দিনা, নিমসার, ময়নামতি, দাউদকান্দি, ইলিয়ট, গৌরীপুরসহ মহাসড়কের অধিকাংশই ছিল অবরোধকারীদের দখলে। সদর দক্ষিণের ভোরে মহাসড়কের পদুয়ার বাজারে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। লালমাই রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ, পাথর, লাঠিছোঠা ও গাছের গুড়ি ফেলে রেখে অবরোধ করে। এছাড়া দাউদকান্দির গৌরীপুর, শহীদনগর, হাসানপুর, দাউদকান্দি বিশ্বরোড, টোলপ্লাজা, জিংলাতলী, রায়পুর, দৌলতপুর ও ইলিয়টগঞ্জে মহাসড়ক অবরোধ করেন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, মহিলাদল ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। শহীদনগরে জামায়াত-শিবিরের কয়েক’শ নেতাকর্মী লাঠিছোটা নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। মহাসড়ক ছিল যানবাহন শূণ্য। দাউদকান্দি উপজেলার ফিডার সড়কগুলোও ছিল  অবরোধকারীদের দখলে। মহাসড়কের দাউদকান্দি বিশ্বরোড, শহীদনগর, গৌরীপুর ও ইলিয়টগঞ্জে বিভিন্ন ব্যাপক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পাশাপশি টহল জোরদার করা হয়। অবরোধের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। চট্টগ্রম বন্দর থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী বহু ট্রাক ও লরি আটকে আছে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!