জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরে আ’লীগ-বিএনপি নেতার বাড়ীতে পাল্টা পাল্টি অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুরের মধ্যদিয়ে বিএনপি-জামাত ১৮দলীয় জোট আহুত অবরোধের তৃতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। এ ঘটনায় আ’লীগ-বিএনপি একে অপরের প্রতি পাল্টা পাল্টি অভিযোগ তুলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া কাতলামারি গ্রামে। জানাগেছে, গুনারীতলা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সামিউল হকের ঘুমন্ত বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। অগ্নিসংযোগের পরপরই আ’লীগ নেতা সপরিবারে পিছন দরজা দিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আত্মরক্ষা করে। তবে এ ঘটনায় কোন ক্ষয়ক্ষতি নাহলেও আ’লীগ নেতার একটি বসত ঘর পুড়ে যায়।
পরদিন ২৮নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে অগ্নিসংযোগের খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্দ আ’লীগ সমর্থকরা পাল্টা হামলা চালিয়ে জোরখালী বাজারে শ্রমিকদল নেতা আল আমিনের দোকান ভাঙচুর করেছে। শ্রমিক নেতার অভিযোগ আ’লীগ গুন্ডারার দোকানে হামলা চালিয়ে তান্ডবলীলা শেষে লুটতরাজ ৩লাখ টাকা কেড়ে নেয়। হামলায় অন্তত: ৫লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটতরাজ করেছে। উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ওবায়দুর রহমান বেলাল এ ঘটনার জন্য সরাসরি বিএনপিকে দায়ী করেছেন।
অপরদিকে স্থানীয় এমপি মির্জা আজমের নির্দেশে আ’লীগ নেতারা একের পর এক কান্ড ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন- ইতোপূর্বে মাদারগঞ্জ বিএনপির অফিসে অগ্নি সংযোগ, বিএনপি নেতা শাহীনকে কুপিয়েছে। বর্তমানে শাহীন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ছে। এহেন কর্মকান্ড’র দায়ভার মির্জা আজমকেই নিতে হবে। তিনি আ’লীগকে বিশৃংখলা থেকে বিরত থাকারও আহবান জানান।
এ ব্যপারে জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট বাকিবিলাহ বলেছেন-চলমান রাজনীতিতে বিএনপি জ্বালাও পোড়াও-এ মেতেছে। দেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। রাতের অন্ধকারে আ’লীগ নেতাকে ঘরে আটকে রেখে হত্যার উদ্দেশ্যে আগুন দেয়া এবং শ্রমিক দল নেতার দোকান ভাংচুর দুটোই অপরাধ। কাজটি যারাই করুক। এদের শাস্তি চাই। কেননা আমরা মানুষ মেরে-জালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংশ করে ক্ষমতায় যেতে চাই না। জামাত-শিবির জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। যার নজির আপনারা দেখছেন। প্রশাসনকে দোষীদের বের করার আহবান করছি।
