মো. মোস্তাফিজার রহমান, বেতাগী (বরগুনা) : বেতাগীতে আমন মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবাদের ফলে অধিক ফলন হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় মহাসেনে বিধ্বস্ত এ জনপদে ধানের বাম্পার ফলনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কৃষক।
জানা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্র্যাকের লোকজন বাড়ি গিয়ে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করার জন্য কৃষকদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করে। আর এতে সহযোগিতার হাত বাড়ায় কৃষি বিভাগ। ফলে কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে আগ্রহী হয়। চাষ, সেচ, বীজ, সার, কীটনাশক সহায়তা বাবদ ব্র্যাক একর প্রতি ৮ হাজার টাকা অনুদান ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় এ উপজেলায় আগ্রহী ৬শ জন কৃষক জমিতে উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ করে। এ মৌসুমে একর প্রতি ২.৮০ মেট্রিক টন ধান পায়।
কৃষক আবুল কালাম জানায়, তার জীবনে ধান চাষের শুরু থেকে ইতোপুর্বে আর কখনও এত ধানের ফলন হয়নি। বুড়ামজুমদার গ্রামের বাসিন্দা সুমন ঢালী বলেন, এ এলাকায় ব্যাপকভাবে ধানের আবাদ করা হলেও তেমন ফসল হতোনা। কিন্তু উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদের ফলে আগের চেয়ে তিনি অনেক বাড়তি ফসল পেয়েছেন। শুধু এরাই নয় কৃষক রাখাল চন্দ্র, ইব্রাহিম, দুলাল ও লিটন জানান, মহাসেনের দুর্যোগের কারনে আউশ মৌসুমে ফসলে মার খেলেও এবারে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে উঠেছেন।
ব্র্যাক জানায়, কৃষি ও খাদ্য নিরাপওা কর্মসুচির আওতায় উপজেলার কেওড়াবুনিয়া, উওর কেওড়াবুনিয়া, শেরে বাংলা, জলিসা, মেহের গাজী, চরখালী, হাঁট মোকামিয়া, ফুলতলা, পুটিয়াখালী, বুড়ামজুমদার ও বদনীখালী গ্রামে ১১ টি ব্লকের মাধ্যমে ৬‘শ জন কৃষক ৩২৭ একর জমিতে বি-আর-১১, ২২,৪৯ (বন্যাসহিষ্ণু) ও বিনা-৭ জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের আবাদ করে। ব্র্যাকের খাদ্য নিরাপওা কর্মসুচির উপজেলা শাখা ব্যবস্থাপক শিশির সমাদ্দার বলেন, উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবাদের পাশাপাশি কৃষকরা আগের চেয়ে চাষাবাদে বেশী সচেতন ও যতœবান হওয়ায় ভাল ফলন পাওয়া গেছে।