কাঠালিয়া প্রতিনিধি : দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত জন গোষ্ঠির যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম কাঠালিয়া-খুলনা-ভান্ডারিয়া-কচুয়া-বিনা পানী-রাজাপুর-বেতাগী ও পটুয়াখালী সড়কের মধ্যবর্তী কচুয়া মলানিশি খালের উপর সেতু না থাকায় দূ’পাড়ের ১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষসহ দক্ষিনাঞ্চলের লাখ লাখ লোক চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ইতোপূর্বে এ সড়কের কচুয়া-বিনা পানী-ভান্ডারিয়া অংশের কাজ সম্পূন্ন হলেও একটি মাত্র ব্রীজের অভাবে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের জন্য জনগুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটি চালু হচ্ছে না। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকারের সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও জেপির চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর উদ্যোগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মলানিশি খালে একটি বেইলী ব্রীজ নির্মান করেন। কিন্তু নিন্মমানের মালামাল দেয়ার কারনে নির্মানাধীন অবস্থায়ই ১ দিনের মাথায় ব্রীজটি ধ্বসে পড়ে। ফলে ঠিকাদার সেই অবস্থায় ফেলে চলে যায়। সেই থেকে দু’ পাড়ের হাজার হাজার পথচারীর দীর্ঘ ১৫ বছর নৌকায় পারাপারের মাধ্যমে চলাচল করে আসছে। প্রতি নিয়ত দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে স্কুল ও কলেজের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। এলাকাবাসী অনেক আবেদন নিবেদন করলেও জনগুরুত্বপূর্ন এ সেতুটি পূনঃ নির্মানে সরকারী,বেসরকারীসংস্থা বা কোন জন প্রতিনিধি এগিয়ে আসেনি। গত ৪ বছর আগে এ সড়কের কচুয়া-বেতাগী বিষখালী নদীতে ফেরী স্থাপনের জন্য দূ’প্রান্তের কাজ করা শেষ হলেও এ মলানিশি খালের ব্রীজটি ঝালকাঠি -১ কাঠালিয়া-রাজাপুর আসনের সংসদ সদস্য বজলূল হক হারুন নির্মানের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় স্থানীয় লোকজন দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সরকারী কোন সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ন নিজেদের শ্রম ও টাকা ব্যয়ে ৪’শত ফুট দৈঘ্য এ সাঁকোটি ২০১১ সালে নির্মিত হওয়ার পর একটি মালবাহী ট্রলারে রাতে সাঁকোটি ভেঙ্গে ফেলে। ২ বছর অপেক্ষার পর আবার এ সাঁকেটি নির্মানের কাজ শুরু করে। এ সাঁকেটি নির্মিত হলে প্রতিদিন ছোট ছোট কোমলমতি স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে সাঁকো পারাপার করবে।
