শ্যামলবাংলা ডেস্ক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ইয়াসমীন হক পদত্যাগ করেছেন। সন্ধ্যায় শাবি রেজিস্টার বরাবর তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে একাডেমিক কাউন্সিলের এক সদস্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শাবি এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবি) ৩০ নভেম্বরের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করায় তারা পদত্যাগ করেছেন। ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় পরীক্ষা স্থগিতের ওই সিদ্ধান্ত হয়।
সূত্রমতে, জাফর ইকবাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছিলেন। নতুন ওই পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জাফর ইকবাল ও ইয়াসমীন হক পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এদিকে শাবির রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন জানান, শুনেছি তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমি এখনও কোন কাগজ পাইনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শাবির ভিসি এক পরিপত্রে সমন্বিত পরীক্ষা (গুচ্ছ পদ্ধতি) অনুমোদন করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার এমন পরিপত্র দেখে বিষ্মিত হন সিলেটসহ দেশের শিক্ষাবিদরা। এ অবস্থায় যবি’র মত নবীন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শাবি’র সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন তারা। দেশের সবক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ না নিয়ে শুধুমাত্র শাবি ও যবির মধ্যে ওই প্রক্রিয়া নেওয়ায় ক্ষুদ্ধ হন সিলেটের শিক্ষাবিদরা। দু’টি ভিন্ন মান সম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একই প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। দেশের শিক্ষাবিদ ও অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ওই পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানান। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।