ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের শিবগঞ্জ এলাকার সবজি চাষী আব্দুল লতিফ লিটু আগাম জাতের বারি ফুঁলকপি-১ ও প্রভাতি বাঁধাকপি-১ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
তিনি গত ৫ বছর ধরে ধান ও পাটের চাষ বাদ দিয়ে জেলা কৃষি বিভাগ থেকে কপি চাষের উপর ট্রেনিং গ্রহণ করে কপি চাষে ঝুঁকে পড়েন। বর্তমানে তিনি তার নিজস্ব ২ একর জমিতে আগাম বারি ফুঁলকপি-১ ও প্রভাতি বাঁধা কপি-১ চাষ করেছেন।
আব্দুল লতিফ জানান, ওই জমিতে কপি চাষ করে খরচ বাবদ প্রায় ১ লক্ষ টাকা এবং কপি বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে তিনি এ পযন্ত আয় করেছেন প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তবে তিনি অভিযোগ করেন, সুষ্ঠু বাজারজাত ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে তাদের জিম্মি থাকতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, পূর্বে আমাদের এসব জমিতে ধান ছাড়া তেমন কোন চাষাবাদ হতোনা এবং ধানের ফলনও ভালো হতো না। সে সময় আমার সংসার চালানো দুস্কর হয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি পরিবার-পরিজনকে নিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করতাম। কিন্তু এখন আর সেদিন নেই।
কপি চাষে আমার ভাগ্য ফিরেছে। আমার কপি চাষ দেখে পার্শ্ববর্তীরাও বর্তমানে কপি চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। সরকারী ভাবে সহজ উপায়ে ঋণ সহায়তা পেলে এ অঞ্চলের অনাবাদি জমিগুলো কপি চাষের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
একই গ্রামের আরেক কপি চাষী জাবেদ আলী জানান, আব্দুল লতিফ কপি চাষ দেখে এ বছর ৫০ শতক জমিতে কপি চাষ করেছেন তিনি। এতে তিনি ধান চাষের চেয়ে বেশি লাভবান হবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বেলায়েত হোসেন জানান, আব্দুল লতিফ লিটু একজন সফল কপি চাষী। আমরা তার কপি চাষের সব রকমের পরামর্শ দিয়ে আসছি। কোন চাষীর পক্ষে ঋণ সহায়তার প্রয়োজন থাকলে জেলা কৃষি বিভাগে যোগাযোগ করলে আমরা ঋণ কমিটির মাধ্যমে তাদের ঋণের বিষয়ে ব্যাংকে তালিকা পাঠাবো।
চলতি মওসুমে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় প্রায় ১শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে কপি’র চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলন ফলপ্রসূ হলে যা এলাকার চাহিদা পুরণ করে দেশের অন্য এলাকায় রপ্তানী করা সম্ভব হবে।