আজহারুল হক, গফরগাঁও : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চতুর্থ শ্রেনীর স্কুল ছাত্র ইমরানকে গলাকেটে হত্যার ৪ দিন পর নিহতের পিতা আমান উলাহ বাদি হয়ে সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে নিহতের চাচা মঞ্জুরুলকে সোমরাত রাত ৩টার দিকে আটক করে গফরগাঁও থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের মাদারী নগর গ্রামের আমান উলাহর পুত্র আমোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র ইমরান (১১) গত ২২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ছোট ভাই আবু রায়হানকে নিয়ে স্থানীয় পাঁচরাখি বাজারে সুপারি বিক্রি করতে যায়। বাজার শেষে ছোট ভাই রায়হানকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে সে বাজারে নামাজ পড়ার কথা বলে থেকে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত সে বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খোঁজা-খোজি শুরু করে। তবে ওই রাতে তাকে আর কোথাও খোঁজে পাওয়া যায়নি।
পরে ২৩ নভেম্বর শনিবার সকালে গফরগাঁও উপজেলার চরমছলন্দ পশ্চিম পাড়া গ্রামের কালোর বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজের নিচে এলাকাবাসী অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে গফরগাঁও থানায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে আমান উলাহ গফরগাঁও থানায় এসে এটি তার ছেলে ইমরান বলে সনাক্ত করে। পুলিশ জানায়, স্কুল ছাত্র ইমরানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোতালেব মিয়া জানান, স্কুল ছাত্র ইমরান হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের চাচা মঞ্জুরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।