আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : মেম্বর নির্বাচনে ভোট না দেয়ায় সরকারি রাস্তা কেটে জমি ভরাট করেছেন এমন অভিযোগ বরগুনার আমতলী উপজেলার ৭নং ইউনিয়নের আড়পাঙ্গাসিয়া ঘোপখালী এলাকাবাসীর।
জানাগেছে, চড়কগাছিয়া খালের পাড় দিয়ে একটি রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ, শিশু, শিক্ষার্থী ও গরু, ছাগল, মহিষ চলাচল করে। রাস্তাটি প্রায় চল্লিশ বছরের পুরনো। এ পর্যন্ত রাস্তাটি ৪/৫ বার নির্মাণ ও পূর্ননির্মাণ করা হয়েছে। এ এলাকার আবু বকর মুন্সি, গায়ের জোরে জন সাধারণের কষ্টের কথা চিন্তা না করে, গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিষেধ থাকা স্বত্বেও রাস্তা কেটে নিজের জমির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ।
ভুক্তভোগী আমেনা বেগম জানান, আমার বাবার কবর রাস্তার পাশে। রাস্তা কাটার ফলে বাবার কবরটাও তাদের জমির সাথে মিশে গেছে। এ রাস্তা না থাকলে এলাকার মানুষের বিপদের আর সীমা থাকবে না। তাই পুরনো রাস্তাটি যেন পূর্ননির্মাণ করা হয়।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী মোস্তাফিজ মাষ্টার, মসজিদের ঈমাম কারী আ: আজিজ, খোকন হাং ও আ: জলিল জানান, আবু বকরসহ তার চার ছেলে মিলে চল্লিশ বছরের পুরনো রাস্তাটি কেটে তার জমি ভরাট করে তাদের ক্ষমতা দেখিয়েছে। কেহ বাধাঁ দিতে আসলে তার লাশ ফেলে দিবে বলে শাসিয়েছে। তাই ওদের অপক্ষমতার জোররের সামনে আমাদের কোন মূল্য নেই। রাস্তা কাটার ফলে এ এলাকার শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না, যারা বাজারে কাজ করে তারা চলাচল করতে পারে না, কৃষকরা গরু, ছাগল নিয়ে মাঠে যেতে পারে না। তাই এ এলাকার ভুক্তভোগী জন সাধারণের প্রতি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আড়পাঙ্গাসিয়া ৭নং ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আবু বকর মুন্সি ও তার চার ছেলে মজনু, শাহীন, মজিবর ও সজল মিলে রাস্তাটি কেটেছে এ অভিযোগে তাদের সাথে আমার কথা হলে তারা জানান, আমাদের জমি আমরা কেটেছি তাতে যদি এলাকাবাসীর ক্ষতি হয় আমাদের কিছু করার নেই।
চেয়ারম্যার আরও জানান, যদি মানুষের দূর্ভোগের কথা না ভেবে তারা রাস্তাটি পূনরায় নিমার্ণ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।