মো: খালেদ পারভেজ বখশ, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার জেলায় বাংলাদেশে বসবাসকারী ধর্মীয় সংখ্যালঘুঁদের জানমাল ও উপাসনালয়ের পূর্ণনিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে সারা দেশের সকল মহানগরী, জেলা-উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা।
২৩ নভেম্বর সকাল ১১টা ৩০মিনিটে শহরের চৌমুহনা হতে মিছিলটি শুরু হয়ে কুসুমবাগ শপিং সিটির সামনে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা আমীর মাওঃ আব্দুল মান্নান। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রটারী ইঞ্জিনিয়ার এম শাহেদ আলী, পৌর আমীর ইয়ামীর আলী, সদর উপজেলা আমীর আলা উদ্দিন শাহ, পৌর সেক্রটারী মাওঃ আহমদ ফারুক, সদর সেক্রটারী সৈয়দ তারেকুল হামীদ, শিবিরের মৌলভীবাজার শহর সভাপতি হাফেজ তাজুল ইসলাম, শহর সেক্রটারী ফখরুল ইসলাম, প্রমুখ। সমাবেশ বক্তারা বলেন, ‘যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আরোহণ করে তখনই তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরকে ঘায়েল করার হীনউদ্দেশ্যে দেশের সংখ্যালঘুঁ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান স¤প্রদায়কে রাজনৈতিক দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সে সরকারেরই পবিত্র দায়িত্ব সংখ্যা লঘুঁদের জানমাল ও উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নিজেদের দলীয় সন্ত্রাসী ক্যাডার দিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় দেশের সংখ্যালঘুঁ স¤প্রদায়ের লোকদের দোকানপাট, বাড়ি, ঘর, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় হামলা চালায় সেজন্য জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করে থাকে। কিন্তু বার বারই জাতির সামনে প্রমাণিত হয়েছে যে, সংখ্যালঘুঁদের ওপর হামলার ঘটনার সাথে জামায়াত-শিবির কখনো জড়িত ছিল না। বরং যখনই সংখ্যালঘুঁদের ওপর কেউ আঘাত দিয়েছে তখনই জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা সংখ্যালঘুঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে এই দমন পীড়ন বন্ধ না হলে গণ জোয়ারের মুখে সরকারের পতন হবে।