শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

সৈয়দপুরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে ১০ হাজার সদস্যের ২০ লাখ টাকা প্রতারণা : প্রতারক আটক

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ২২, ২০১৩ ৬:০৫ অপরাহ্ণ
সৈয়দপুরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে ১০ হাজার সদস্যের ২০ লাখ টাকা প্রতারণা : প্রতারক আটক

এম. এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে ২০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক চক্রের হোতা জহিরুল ইসলাম (৪৫) কে বৃহস্পতিবার পুলিশ আটক করেছে এবং জব্দ করা হয়েছে ভুয়া কাগজপত্রও। মাদার শাহ্ ফকির ওয়াক্ফ এষ্টেট নামের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটিতে অংশিদার হওয়ার লোভ দেখিয়ে সদস্যদের ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই প্রতারক। এতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িতরা সদস্যভূক্তি ও কিস্তির নামে ওই টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকান্ড সন্দেহ হলে ঘটনার দিন প্রতিষ্ঠানের সচিব জহিরুল ইসলামকে আটকে রেখে বিষয়টি পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকারকে জানানো হয়। এ অভিযোগ যাচাইয়ে মেয়রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জিয়াউল হক জিয়া ও প্যানেল মেয়র-২ জোবাইদুল ইসলাম মিন্টু শহরের কাজীপাড়ায় গিয়ে ওয়াক্ফ এষ্টেটের সচিব জহিরুল ইসলামকে তার প্রতিষ্ঠানের বৈধতা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রতারণার ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ে। পরে তাকে প্রতারণার দায়ে পুলিশের হাতে সোপার্দ করা হয়। এ ঘটনায় প্যানেল মেয়র বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দাযের করেন। মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত আরও ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রতারক জহিরুলের বাড়ি রাজধানী ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকায়।
অভিযোগে জানা যায়, সৈয়দপুরের পার্শ্ববর্তী উপজেলার বেলাইচন্ডির সোনাপুকুর (দক্ষিণ পাড়া) এলাকায় মাদার শাহ ফকির ওয়াক্ফ এষ্টেটের নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন হোতা জহিরুল ইসলাম। প্রতারক ও তার সঙ্গীরা সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর উপজেলার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওয়াক্ফ এষ্টেটের অংশিদার হওয়ার লোভ দেখিয়ে সদস্য সংগ্রহ শুরু করে। এভাবে ২০ হাজার সদস্যের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকান্ড সন্দেহ হলে তাকে পুলিশে দেয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকায় মাদার শাহ ফকির ওয়াক্ফ এষ্টেট বলে কোন এষ্টেট নেই। এলাকার লোকজন জানায়, অর্থ লুটতে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে সাধারণ মানুষকে সর্বশান্ত করা হয়েছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!