এস.গুলবাগী,বগুড়া : বগুড়ার শিবগঞ্জে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগে সাংবাদিক মহল সহ সাধারন মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার একটি তুচ্ছ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাযায়, স¤প্রতি বিরোধী জোটের হরতাল চলাকালে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা বন্দরে এলাকার দু’দল যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে ১৫ নভেম্বর দুপুরে মহাস্থান বন্দরের গোকুল ছ’মিল এলাকায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত বগুড়া সদর উপজেলার মধুমাঝিড়া গ্রামের আলহাজ্ব জিন্নাত আলীর পুত্র আপেল মাহমুদ টিটু পরদিন শিবগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নং ৮৬০, তাং ১৬-১১-১৩। জিডিতে ঘটনার জন্য চন্ডিহারা গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদের পুত্র রাশেদুলকে অভিযুক্ত করা হয়। এর একদিন পর ১৭ নভেম্বর আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি ঘটনাস্থল পরিবর্তন করে মহাস্থান ব্রীজের পার্শ্বে (হাতিবান্দা) উলেখ করেন। মামলায় আপেল মাহমুদ টিটুসহ ৫ জনের নাম উলেখসহ আরও অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করা হয়। আপেল মাহমুদ টিটুর সাথে বাকবিতন্ডা হলেও মামলায় এক নম্বর আসামী করা হয়েছে আমিনুলের প্রতিবেশি নিমেরপাড়া গ্রামের কফিল উদ্দিনের পুত্র ফজলুল বারী এবং দুই নম্বর আসামী করা হয়েছে একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলের বগুড়া ব্যুরোর ক্যামেরাম্যান লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের পুত্র সেলিমকে। মামলায় উলেখিত ঘটনাস্থলে টোল আদায় করার অভিযোগ এনে ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রউফ, ফুট মিয়াসহ অনেকেই জানিয়েছেন, ওই দিন সেখানে মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, একই ঘটনায় থানায় এক পক্ষ জিডি করার একদিন পর অপর পক্ষের মামলা গ্রহন করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ঘটনার সাথে যাদের দূরতম সংশ্লিষ্টতা নেই এমন ব্যক্তিদের মামলার প্রধান ও দ্বিতীয় আসামী করায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন কোন কিছুর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একজন সংবাদকর্মির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা গ্রহন করতে পারে বলে এলাকাবাসী মনে করছে। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল করিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনকিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।