এম. এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ভাইরাসজনিত গরুর ক্ষুরারোগ মহামারী আকার ধারণ করেছে। গত দুই সপ্তাহে এ রোগে অন্তত: ১৪টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার গরু। এতে কৃষকসহ দুগ্ধ ও গরু মোটাতাজাকরণ খামারিদের মাথায় হাত পড়েছেন। তবে সংশি¬ষ্ট দপ্তর সংক্রমন এলাকা চিহিৃত করে এ রোগ প্রতিরোধে কৃষকদের পরামর্শ ও সেবা দিচ্ছেন।
সরেজমিনে গরুর ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত সৈয়দপুর পৌর এলাকার কাজীপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, গত দুই সপ্তাহে ওই এলাকার মানিকুলের ডেইরী ফার্মের হলস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ও বাবু মিয়ার দুইটি দুধেল গাভী এবং আমিনুল মাষ্টারের একটি ৬ মাসের বাছুর মারা যায়। এছাড়া শহরের বানিয়াপাড়ার আমিনুল, মমিন, অব্বাস, রবিউলের ৬টি বাছুরসহ ১১টি ক্ষুরা রোগে মারা যায়। এদিকে পৌরসভার কুন্দল, বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর গ্রামে ৩ হাজার গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এসব এলাকার কৃষকরা জানান, এই ভাইরাসে বাছুরগুলো বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ভ্যাকসিন প্রয়োগে এ রোগ ভালো হয় তা তাদের জানা নেই। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় পশু হাসপাতালের কর্মকর্তারা এ রোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রচারণা বা ক্যাম্পেইন করেননি। এতে ভ্যাকসিন সম্পর্কে অনেকেই অবহিত না থাকায় রোগটি ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এসব এলাকায় ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশে ক্ষুরা রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এই রোগ সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করতে গত দেড় মাস ধরে চলছে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মহামারী নয় কিছু এলাকায় এর সংক্রমন হয়েছে। পশু মালিকদের অনাগ্রহের কারণে গরুর ভ্যাকসিন না দেওয়ায় ক্ষুরা রোগের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এজন্য সংক্রমন এলাকাগুলো চিহিৃত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।