শ্যামলবাংলা ডেস্ক : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান রাজনীতির অস্থির অচলাবস্থা অনিশ্চয়তা, রাজপথের হরতাল-সহিংসতা এবং ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের’ ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস।
২০ নভেম্বর বুধবার রাতে কংগ্রেসের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপ-কমিটিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ওই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
কংগ্রেসের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান স্টিভ শ্যাবটের সভাপতিত্বে ‘বাংলাদেশ ইন টারময়েল : এ নেশন অন দ্যা ব্রিঙ্ক ?’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত শুনানিতে কংগ্রেস সদস্য ব্র্যাড শারমেন, তুলসি গ্যাবার্ড ও জেরার্ড ই কনোলি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের পাবলিক পলিসি স্কলার আলী রিয়াজ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট এ এন এম মুনীরউজ্জামান ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর জন সিফটন ওই অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসাবে বক্তব্য প্রদান করেন।
আলোচকদের বক্তব্য শেষে চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। সবশেষে বক্তব্য দেন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র-বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এড রয়েস।
নভেম্বরের শুরুতে ঢাকা ঘুরে যাওয়া শ্যাবট শুনানির শুরুতেই বলেন, তার সফরের সময় বাংলাদেশে বিরোধী দলের হরতাল চলছিল, যেখানে ব্যাপক সহিংসতা ঘটে। ওই সময় তিনি সরকারী ও বিরোধীদলীয় নেতার সাথে সাক্ষাতসহ সার্বিক পরিস্থিতিদৃষ্টে তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিরোধী দল নির্বাচনে যাবে কিনা- সে বিষয়টিও এখনো নিশ্চিত নয়। আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন নির্বাচন সামনে রেখে এভাবে রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। কংগ্রেসের পররাষ্ট্র-বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এড রয়েস , বাংলাদেশে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় তার উদ্বেগের কথা উলেখ করে পাকিস্তানের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মাদ্রাসা শিক্ষা ও মৌলবাদের উত্থান নিয়ে সতর্ক হওয়ারও তাগিদ দেন। জঙ্গিবাদের উত্থানের বিষয়টিতে সতর্ক থেকে এখনই বাংলাদেশের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মতামত ব্যক্ত করেন রয়েস ।
