বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

কেশবপুর বিদ্যালয়ে বিদ্যুতায়নের নামে দেড় লক্ষাধিক টাকার ১৮ গাছ কর্তন!

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ২০, ২০১৩ ১:০৪ অপরাহ্ণ

Shamsur Rahman-20-11-13কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : বিদ্যুতায়নের খোড়া অজুহাত দেখিয়ে কেশবপুরের শতবর্ষী বিদ্যানন্দকাটি রাসবিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্মৃতি বিজড়িত বৃহদাকার ১৫টি গাছ কর্তৃপক্ষ দেড় লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। এ সুযোগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজসে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের আরো ৩টি গাছ কেটে আত্মসাতের চেষ্টাকালে গ্রামবাসী তা করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, কেশবপুর শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাটা নামক স্থানে শতবর্ষী বিদ্যানন্দকাটি রাসবিহারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ২৫/৩০ বছর আগে ওই বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে বুড়িভদ্রা নদীর চর দিয়ে শিশু, বাবলা গাছ রোপন করা হয়। গাছগুলি কোন ক্ষতি না করলেও বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ আনার নামে খোড়া অজুহাত দেখিয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকরা তা মারার জন্য রেজুলেশন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রেরন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক সভায় গাছগুলি মারার অনুমোদন দিয়ে ১৬/০৯/১৩ তারিখে তার কার্যালয়ে টেন্ডার আহবান করেন। উপজেলার শ্রীফলা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী রবিউল  ইসলাম টেন্ডারে অংশ নিয়ে ১ লাখ ৫১ হাজার ৫শ  টাকায় শিশু, বাবলা ও রেন্টি গাছ ক্রয় করে ৫ নভেম্বর থেকে গাছগুলি কর্তন শুরু করেন।
এদিকে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক কাঠ ব্যবসায়ীর সাথে যোগসাজসে নিয়মবর্হিভূতভাবে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের আরও ২টি শিশু ও ১টি বাবলা গাছ বিক্রি করে দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে ১৬ নভেম্বর এলাকার ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে গ্রামবাসি অবৈধভাবে কর্তনকৃত ৩টি গাছ আটক করেন বলে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন জানান।
এ ব্যাপারে কাঠ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, অন্য গাছ কাঠতে গিয়ে গাছগুলো ভেঙ্গে যায়। ইচ্ছা করে গাছ কাটা হয়নি। বিদ্যালয়ের সভাপতি রুহুল কুদ্দুছ বলেন, ঠিকাদার রবিউল ইসলাম চড়ামূল্যে গাছ কিনে লোকসানে পড়েছে। তাই ৩টি গাছ কেটে ফেলেছে। যা তার অজান্তেই হয়েছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা ইউনুস আলি জানান, ১টি রোড শিশু ১টি বাবলা ও ১৩টি শিশুগাছ বিক্রির জন্য টেন্ডার হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম বলেন, গাছ কাটার ঘটনা জানতে পেরে ওই ঠিকাদারের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করা হয়েছে। বুধবার সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঠিকাদারের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করলেও সে বহাল তবিয়তে গাছ কাটা ও জ্বালানি কাঠ বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!