কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কালো দিবস’ পালন করেছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। এ উপলক্ষে ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে শিক্ষকরা কালো ব্যাচ ধারণ করেন।
শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। এসময় শিক্ষক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শিক্ষকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার পর এক বছর পার হয়ে গেছে। প্রশাসন এখন পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনেননি। বরং হামলাকারীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসনের পায়তারা চলছে বলেও বক্তারা অভিযোগ করেন। শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নজিবুল হক বলেন, ‘যারা দিনে দুপুরে সবার সামনে শিক্ষকদের ওপর হামলা করলো, তাদেরকে নাকি তদন্ত কমিটি চিনতে পারেনি। এটা চরম হাস্যকর ও লজ্জাজনক। আমরা প্রশাসনকে পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই, হামলাকারীদেরকে যদি চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে শিক্ষক সমাজ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।’ প্রফেসর ড. মো. গোলাম মওলার পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী, প্রফেসর ড. এমতাজ হোসেন, প্রফেসর ড. তোজাম্মেল হোসেন, প্রফেসর ড. একেএম মতিনুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আ ছ ম তরিকুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ইকবাল হোসাইন, জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. শহীদুল ইসলাম নূরী, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুস শাহীদ মিয়া, প্রফেসর ড. আক্রাম হোসেন মজুমদার, প্রফেসর ড. নাছিরুদ্দিন মিঝি, মো. সেলিম, প্রফেসর ড. মো. আব্দুল গফুর গাজী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বছরের আজকের এইদিনে শিক্ষক সমিতির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বর্বরোচিত হামলা চালায় ছাত্র নামধারী একদল দুর্বত্তরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে রচিত হয় এক জঘন্যতম কালো অধ্যায়। ঘটনার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ১৯ নভেম্বরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কালো দিবস’ ঘোষণা করে।