কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ কেশবপুর আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যাপক লোবিং চালিয়ে যাচ্ছেন ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও জীবন বীমা করপোরেশনে সরকার নিযুক্ত পরিচালক আওয়ামীলীগ নেতা শেখ আব্দুর রফিক। ইতোমধ্যে তিনি দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে প্রতিদ্ব›দ্বীতার ঘোষণা নিয়েছেন।
একান্ত সাক্ষাতকালে শেখ আব্দুর রফিক জানান, ১৯৬৩ সালের ২০ জুন কেশবপুরের ঐতিহ্যবাহী মির্জানগর গ্রামের সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম শেখ আব্দুর রশিদ। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮১ সাল থেকে ৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসএস পাশ করার পর বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও জীবন বীমা করপোরেশনে সরকার নিযুক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এরপরও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগসহ কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি ২০০২ সালে কেশবপুর উপজেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনিত হন। ২০০৬ সালে তার উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান শেখ আব্দুর রফিক বলেন, ২০০৭ সালে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তিনি এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে গণসংযোগসহ কেন্দ্রে ব্যাপক লোবিং করেন। কিন্তু ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন দীর্ঘ দিনের স্বতন্ত্র কেশবপুর আসনের সাথে দূর্গম এলাকা অভায়নগরকে জুড়ে দিয়ে যশোর-৬ সংসদীয় আসন পুণবিন্যাস করলে তিনি মনোনয়ন চেয়েও সরে দাঁড়ান। কিন্তু কেশবপুর উপজেলা আওয়মীলীগের রাজনীতি সাথে তিনি যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। গত ২৭ জুলাই কেশবপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি নিজেকে যশোর-৬ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ঘোষণা করেন। মতবিনিময় কালে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সৃষ্ট হওয়া উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি কেন্দ্রের নির্দশনা পেয়ে এলাকায় গণসংযোগ করছেন। মনোনয়নের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মশিয়ার দফাদার, কাজী ইমান, শামছুদ্দীন প্রমূখ বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে কেশবপুরের বাইরের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় কেশবপুরের জনগন কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এজন্য আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কেশবপুরের সন্তানকে দলীয় মনোনয়ন দিলে তিনি জয়ী হবেন। এক্ষেত্রে শেখ আব্দুর রফিক দীর্ঘদিন ধরে এলাকার জনগনকে সাথে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া প্রত্যেক এলাকায় রয়েছে তার কর্মী বাহিনী। ফলে তাকে মনোনয়ন দিলে আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত কেশবপুর আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে রাখা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলম মোস্তফা বলেন, আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ আব্দুর রফিক দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলার সন্তান হিসেবে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তারপরও দল থেকে যাকে মনোনয়ন দিবে তাকেই জয়ী করার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাব।