ads

সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০১৩ | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁও-১ : বড় দু’দলের হাই ভোল্টেজ প্রার্থী

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ১৮, ২০১৩ ৬:৫৫ অপরাহ্ণ

alamgir  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও-১ আসনের নির্বাচনে এখানে হবে মর্যাদার লড়াই। দু’দলেরই এখানে রয়েছে হাই ভোল্টেজ প্রার্থী।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন এই আসনের প্রতিদ্ব›দ্বী। সভাবতই বিএনপি চাইবে যেকোন ভাবে মির্জা ফখরুলকে বিজয়ী করতে। অন্যদিকে রমেশ চন্দ্র সেন কেবিনেট মন্ত্রী ও একনেকের সদস্য। ইতিমধ্যে মির্জা ফখরুল বেশ কয়েকটি জনসভা করে গেছেন। মির্জা ফখরুলের পক্ষে তাঁর ভগ্নিপতি বিএনপি নেতা সাবেক সেনা প্রধান মাহবুবুর রহমানও জনসভা করে গেছেন। পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন এখন ঘনঘন ঠাকুরগাঁও আসছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করছেন ও ব্যাপক গণসংযোগে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন। আসনটির গুরুত্ব থাকায় কিছুদিন আগে এসেছেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এবং বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য। মোটকথা সামনের দিনগুলোতে বড় দু’দল আদাজল খেয়ে ভোটযুদ্ধে নামবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।
২০০৮ সালের নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওÑ১  আসন থেকে আওয়ামীলীগের রমেশ চন্দ্র সেন ১,৭৭,১০১ ভোট পেয়ে জয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন বিএনপি’র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি পেয়েছিলেন  ১,২০,৪১১ ভোট। তার আগের নির্বাচনে অর্থাৎ ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি পেয়েছিলেন ১,৩৪,৯১০ ভোট। আর রমেশ চন্দ্র সেন ভোট পেয়েছিলেন ৯৬,৯৪৮। রমেশ চন্দ্র সেন প্রথম ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য খাদেমুল ইসলামের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে তিনি মির্জা ফখরুলকে পরাজিত করেন। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ এর নির্বাচনী ফলাফলে দেখা যায়, প্রতিবারই পালাবদল হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলায় রয়েছে আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঠাকুরগাঁও-১ আসন। ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় এই আসনের মোট ভোটার ছিল ৩,২৭,৬৭৭। এবার ৪১ হাজার ভোটার বেড়েছে।  এবার এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩,৬৮,৭২৫। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রয়েছে হিন্দু ভোটার। ৭০ শতাংশ ভোট পড়লে, আওয়ামীলীগ পাবে প্রায় ৮০ হাজার ভোট। বিএনপি’কে জিততে হলে এই সংখ্যাটি হিসাবে রাখতে হবে।
তবে বিএনপি’র স্থানীয় নেতারা বলছেন, নির্বাচনে পালাবদল হচ্ছে। এবার বিএনপি’র পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া মির্জা ফখরুলের এখানে রয়েছে দারুন ব্যক্তি ইমেজ। কলেজে শিক্ষকতা করার সুবাদে ও তাঁর পিতা সাবেক কৃষিমন্ত্রী মির্জা রুহুল আমিনের পরিচয় বাড়তি সুবিধা দিবে মির্জা ফখরুলকে। দলের মহাসচিব হওয়ায় ও জাতীয়ভাবে তাঁর গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় মিডিয়ার প্রচার কাজে লাগছে এখানে।

Shamol Bangla Ads

রমেশ চন্দ্র সেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। গত ৫ বছরে এই এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি আওয়ামীলীগের। ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুল ও ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ডাবল শিফ্ট চালুসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক নতুন ভবন নির্মাণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে, গ্রামে গ্রামে নতুন নতুন রাস্তা হয়েছে। তিনি জনসভাগুলিতে উন্নয়নের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। আরো উন্নয়নের জন্য তিনি ভোট চাচ্ছেন।
তবে হিন্দু ভোটারের সুবিধা ছাড়া তেমন কোন প্লাস পয়েন্ট নেই পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ সেনের। নিজ দলের লোকজনও তাঁর উপর নাখোষ। গত প্রায় ৫ বছরে দলের অনেক লোকের সাথে তিনি ভালো ব্যবহার করেননি বলে নেতাকর্মীগণ জানান। নির্দিষ্ট কিছু লোকের প্রতি তাঁর রয়েছে পক্ষপাতিত্ব। এই পক্ষপাতিত্ব রয়েছে ঠিকাদারির ক্ষেত্রে। এই সরকারের আমলে কয়েকজন দলীয় লোকের কোটিপতি হওয়ার বিষয়টিও লোকজন সুনজরে দেখছেনা। তাই উন্নয়ন হওয়ার পরেও দলের লোকজন সুনজরে দেখছেননা রমেশ সেনকে। তাঁর পক্ষে এবার নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া ২০০৮ সালের মতো আর সহজ হবেনা। তবে তিনি হিন্দু ভোটারদের একটি বিরাট অংশের ভোট পাবেন শুধু নৌকা মার্কার জন্য।
অপরদিকে মির্জা ফখরুল এবার পালাবদলের সুবিধায় রয়েছেন। বিএনপি’র একজন নেতা জানান, ১ লাখ ২০ হাজার হিন্দু ভোট বাদ দিয়েই আমরা হিসাব করি। মির্জা ফখরুল জামায়াত ও সমমনা দলের ভোট পাবেন। এই সংখ্যাটি আনুমানিক ৩৫ হাজার। শহরের সুশীল সমাজের  ভোটও বেশি আশা করেন তিনি। জাতীয়পার্টি মহাজোটে থাকলেও সাধারণ ভোটারদের অনেকেই মির্জা ফখরুলকে পছন্দ করেন। তাদের ভোটও পাবেন তিনি। জাতীয় পার্টি যদি এবার মহাজোটে না থাকে, তাহলে লাভ হবে বিএনপি’র। জাতীয় পার্টির ভোটও এখানে প্রায় ৩০ হাজার।        সবদিক পর্যালোচনা করলে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র হাই ভোল্টেজ এই দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোট যুদ্ধ হবে কঠিন। দ’ুদলই বলছে তাদের প্রার্থীর জয় হবে। তবে সময় যত যাচ্ছে, ভোটের হিসাবও পাল্টাচ্ছে।
বর্তমানে ঢাকার উত্তরায় বসবাসরত মির্জা ফখরুলকে ঢাকার একটি আসনেও মনোনয়ন দেয়া হতে পারে বলে জানান স্থানীয় নেতারা। দলের একজন প্রভাবশালী নেতা জানান, মির্জা ফখরুলকে ঠাকুরগাঁও-১ আসন ছাড়াও ঠাকুরগাঁও-২ আসনেও মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। গত নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে জামায়াতের মাওলানা আব্দুল হাকিম অল্প ভোটের ব্যবধানে আওয়ামীলীগের দবিরুল ইসলামের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামীলীগের আরো যারা প্রার্থী রয়েছেন, তারা হলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি এড. মকবুল হোসেন বাবু, সাধারণ সম্পাদক সাদেক কুরাইশী, পৌর মেয়র এসএমএ মঈন, এড ইন্দ্র নাথ রায়, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অরুনাংশূ দত্ত টিটো, । আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যার্শীরা মন্তব্য করে বলেন-না কাঁদলে মা দুধ দেয় না। লাইনে থাকার জন্য মনোনয়ন চাইবেন তারা তবে নেত্রী যাকে নির্বাচিত করবেন তার হয়ে ভোট যুদ্ধে লড়াই করবেন।
বিএনপি’র রয়েছেন, মির্জা ফখরুলের ছোট ভাই বিএনপি’র সহসভাপতি মির্জা ফয়সল, সদর বিএনপি’র সভাপতি ও  জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আব্দুল হালিম, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক তৈমুর রহমান, সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার রঞ্জু চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র শাহেদ কামাল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক পয়গাম আলী। তবে মির্জা ফখরুলকে এই আসনে মনোনয়ন দেয়া হলে বিএনপি’র আর কেউ মনোনয়ন চাইবেননা বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। জাতীয় পার্টির এড. আব্দুল করিম ও সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী এবং সিপিবি’র  অধ্যক্ষ সৈয়দ মেরাজুল হোসেন ও আখতার হোসেন রাজা মনোনয়ন চাইতে পারেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!