ঝালকাঠি সংবাদদাতা : যাত্রীবাহী বাস ভাংচুর, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান খান বাপ্পি ও যুবদলের সিনিয়র নেতা রবিউল হোসেন তুহিন সহ ১৬ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে ঝালকাঠি থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) গৌতম কুমার ঘোষ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জনকে আসামী করা হয়। মামলার এজাহারে উলেখ করা হয়, শনিবার বিকেলে ঝালকাঠি শহরের কলেজ মোড় এলাকায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এসময় তারা বাসের দুটি গ্লাস ভাংচুর করে। পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া করলে ক্ষিপ্ত হয়ে নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় কনস্টেবল আবদুল আজিজ ও কনস্টেবল আসাদুজ্জামান আহত হয়। মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক গৌতম কুমার ঘোষ আরো জানান, ইতোমধ্যে সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মাতুব্বর ও বিনয়কাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ রাঢ়ি নামের দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান খান বাপ্পি বলেন, মিথ্যা মামলায় আমাদের আসামী করা হয়েছে। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে কলেজমোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর বীর-উত্তমকে আটক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে আটকের সময় নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়, এ সময় কোন বাস ভাংচুর করা বা পুলিশের উপর কোন হামলা হয়নি।
