শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ আর নেই। তিনি ১৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহে………..রাজেউন)। তিনি লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর। মৃত্যুকালে রাজিয়া ফয়েজ এক মেয়ে ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্বামী প্রকৌশলী আবু ফয়েজ ২০০৫ সালে মারা যান।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রাজিয়া ফয়েজের শরীরের অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বেলা ৩টা ৩১ মিনিটে তিনি মারা যান। সন্ধ্যায় তার মরদেহ গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বাদ এশা গুলশানে আজাদ মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
রাজিয়া ফয়েজের রাজনৈতিক জীবন ছিল বৈচিত্রময়। ৫ দশকের বেশি সময় আগে বাবা সৈয়দ বদরুদ্দোজার হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। তখন তার বাবা ছিলেন কলকাতা সিটি করপোরেশনের মেয়র। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রাজিয়া ফয়েজ ১৯৬১ সালে খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ১৯৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনে মুসলিম লীগ (খান এ সবুর) থেকে প্রথম নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরশাদের সময়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শিশু ও মহিলা এবং সমাজ কল্যাণ বিষয়ক পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যও ছিলেন। ২০০৬ সালের শেষের দিকে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগ দেন। সর্বশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে তাকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।
এদিকে, রাজিয়া ফয়েজের মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। খালেদা জিয়া তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
