বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা : বেসরকারী সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ ও ইএসডিও এবং কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহায়তায় এফপিবিপি প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত ডলোচুন ব্যবহারের এই সময়ের উপযোগী কৃষি প্রযুক্তি কৃষকদের দাড়গোড়ায় পৌছিয়ে দিয়ে অম্লীয় জমি সংশোধন করে। অধিক ফলন নিশ্চিত করার মাধ্যমে এদেশের খাদ্য অনিশ্চয়তা কমানোর জন্য ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার ইউনিট বিভিন্ন হাট বাজারে ডলোচুন ব্যবহারের প্রমান্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমান প্রায় ৮৫লাখ হেক্টরের মধ্যে অম্লীয় জমির পরিমান প্রায় ৫১ লক্ষ হেক্টর। তার মধ্যে ৩৪ লাখ হেক্টর জমি তীব্র অম্লীয় মাটি। তীব্র অম্লীয় মাটিকে গ্যাস্ট্রিক যুক্ত অসুস্থ্য মাটি বলা যেতে পারে। তীব্র অম্লীয় মাটিতে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ও মলিবডেনামের স্বল্পতা এবং অ্যালুমিনিয়াম, আয়রণ ও ম্যাঙ্গানিজের আধিক্য থাকায় ফসলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয় এবং হ্রাস পায়।
বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, চট্রগ্রামসহ বরেন্দ্র ও মধুপুর অঞ্চলের অধিকাংশ মাটিই তীব্র অম্লীয়।
প্রতিটি ভিডিও প্রদর্শন শেষে পরীক্ষার জন্য একশত জন কৃষকের মাঝে ডলোচুনের বিশ টাকার প্রতি শতাংশ জমির জন্য কেজি ডলোচুন ও এক শতাংশ জমির পরিমাপের জন্য ২৬ মিটার রশি বিতরণ করা হয়। যা দিয়ে কৃষকেরা সহজে জমির অম্লীয় অম্লত্ব নিরুপনের জন্য পরীক্ষা করতে পারবেন।
অম্লীয় মাটিতে ডলোচুন ব্যবহারের উপর ভিডিও প্রদর্শন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আরডিআরএস বাংলাদেশ এর ঠাকুরগাঁও, বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর, পীরগঞ্জ এরিয়া অফিসের দায়িত্বে এফপিবি প্রকল্পের ম্যানাজার (শস্য) খন্দকার মোঃ মাসুদ হাসানসহ অত্র প্রকল্পের ফিল্ড ট্রেইনারবৃন্দ উপস্থিত থেকে এলাকার কৃষকদেরকে ডলোচুন প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে থাকেন।
আরডিআরএস বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশের সমস্ত অম্লীয় মাটি এ প্রযুক্তি আওতায় আসলে শুধুমাত্র এ প্রযুক্তি দিয়ে এদেশের খাদ্যের নিশ্চয়তা করা সম্ভব। তাই কন্ঠে কন্ঠে মিলিয়ে বলা যায়- অম্লীয় মাটিতে ডলোচুন করলে প্রয়োগ, খাদ্যের অনিশ্চয়তা হবে রোধ।