স্টাফ রিপোর্টার : তালাক দেয়া স্বামীর ঘরে থাকা গর্ভজাত শিশু সন্তানকে দেখে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় বখাটেদের খপ্পরে পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে স্বামী পরিত্যক্ত এক গৃহবধূ। ১১ নভেম্বর সোমবার রাতে উপজেলার লংগরপাড়া এলাকায় ওই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ২ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে এবং বিকেলে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতা গৃহবধূকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার ধোপাঘাট গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ওই গৃহবধূর সাথে প্রায় ৭ বছর আগে বিয়ে হয় শ্রীবরদী উপজেলার মামদামারী গ্রামের সাহাজ উদ্দিন ষন্ডার ছেলে খোকা মিয়ার। বিয়ের ২ বছর পর তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। কিন্তু সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে লেগে থাকা ঝগড়া-বিবাদের এক পর্যায়ে প্রায় এক বছর পূর্বে ভেঙ্গে যায় তাদের সংসার। ফলে সংসার জীবন ভেঙ্গে গেলেও ঔরসজাত কন্যা সন্তানকে নিজ বাড়িতে রেখে দেয় ওই গৃহবধূর স্বামী খোকা মিয়া। এরপর থেকেই ওই গৃহবধূ পিতার বাড়িতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই সাবেক স্বামীর পাশের বাড়ি গিয়ে দেখে আসত নিজের গর্ভের সেই সন্তানকে। সোমবার সন্ধ্যায় ৫ বছরের মেয়েকে দেখতে একটি ভ্যানযোগে মামদাবাড়ী যায় ওই গৃহবধূ। এরপর সন্তানকে দেখে হরতাল থাকায় রাতেই পায়ে হেটে বাড়ি ফিরতে থাকলে তার পিছু নেয় বখাটে ৪ যুবক। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ লংগরপাড়া ব্রিজের নিকট পৌছলে বখাটে যুবকরা তার গতিরোধ করে এবং তার মুখ বেঁধে পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। গুরুতর আহত গৃহবধূ কাতরাতে থাকলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করলে ধর্ষিতা গৃহবধূ লংগরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে শফিকুল (২৮) ও খবির উদ্দিনের ছেলে মিজান (২৫) কে শনাক্ত করে। এরপরই বেরিয়ে আসে ওই ঘটনায় জড়িত একই এলাকার ইদ্রিস ও বারেক নামে অপর দুই বখাটের নাম।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই ঘটনায় ৪ বখাটের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। ওই মামলায় ইতোমধ্যে ভিকটিমের শনাক্তমতে গ্রেফতার গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুইজনকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
