স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরের শহীদ পরিবারের সন্তান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব মো. সাইফুল ইসলাম (৬৩) চেয়ারম্যান আর নেই। তিনি ১১ নভেম্বর সোমবার সকাল পৌণে ১১টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে কিডনি রোগজনিত সমস্যায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে…..রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে এক মেয়ে, স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই জেলা শহরের নয়ানী বাজার এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। তার মৃত্যুতে জেলা শহরসহ সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পরপর ৩ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ওইসময় তিনি শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে রাষ্ট্রীয় পদক লাভ করেন। তার বড় ছেলে শীষ মনোয়ার চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ‘জাজ মাল্টিমিডিয়া’র স্বত্ত্বাধিকারী। তার পিতা মোখলেছুর রহমান একই ইউনিয়নে কয়েক দফায় প্রেসিডেন্ট ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার পিতা ও ছোট ভাই আশরাফ হোসেন পাক বাহিনীর হাতে শহীদ হন।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জেলা শহরের মাইসাহেবা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা এবং বাদ জোহর কাংশা’র নিজ এলাকায় দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে তার মৃত্যুতে শেরপুর-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক, শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী ফজলুল হক চাঁন, জেলা পরিষদ প্রশাসক এডভোকেট মো. আব্দুল হালিম, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার মো. খুররম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইলিয়াস উদ্দিন, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাঈম, জেলা ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।