মঙ্গলবার , ১২ নভেম্বর ২০১৩ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

ছাতকে বিএনপি-জামায়াত ও আ’লীগের ত্রিমুখি সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ১২, ২০১৩ ৯:০৬ অপরাহ্ণ

Songhorshoজাকির হোসেন, ছাতক (সুনামগঞ্জ) : ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে বিএনপি-জামায়াত ও আ’লীগের দিনভর সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ত্রিমুখি সংঘর্ষে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টসহ সড়কের উভয়দিকে অর্ধকিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। দফায়-দফায় সংঘর্ষে পুলিশ, ব্যবসায়ী ও পথচারীসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট ও অর্ধশতাধিক টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। এ সময় অর্ধশতাধিক গাড়ী, ৩টি দোকানকোঠা ভাংচুর ও একটি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে গোবিন্দগঞ্জে হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবির বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসার যুবলীগকর্মী আব্দুর রহিম মোটর সাইকেল নিয়ে মিছিল অতিক্রম করতে চাইলে মিছিলকারীর তাকে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে মিছিলকারীদের সাথে তার বাক-বিতন্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে জামায়াত-শিবিরের সাথে আ’লীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন হরতালের সমর্থনে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত বিক্ষোভ মিছিল করতে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। জামায়াত-শিবিরের সাথে আ’লীগের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে পরবর্তীতে বিএনপি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকায় শুরু হয় ত্রিমুখি সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে পুলিশ রাবার বুলেটের পাশাপাশি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে হরতালকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা উপজেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারী মাওলানা মনসুর আহমদের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আকবর আলীর মোটর সাইকেল ভাংচুর, জামায়াত নেতা আমিরুল হক মেম্বারের আলম টেলিকম সেন্টারসহ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মতিউর রহমান রুমানের মালিকানাধিন পরিজা ম্যানশনের আরো ৩টি দোকান ভাংচুর করে। এছাড়া গ্রামীণ ফোন কাষ্টমার কেয়ার, রহিমের মালিকানাধিন ইতি টেলিকম ও একটি চায়ের দোকানও ভাংচুর করা হয়। গোবিন্দগঞ্জ ষ্ট্যান্ড থেকে প্রায় অর্ধকিলোমিটার দূরে রাখা লেগুনা, ফোরষ্ট্রোক, অটোটেম্পুসহ অর্ধশতাধিক গাড়ী ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ষ্ট্যান্ডে থাকা আরো কয়েকটি ফোরষ্ট্রোক ও দুটি এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর করলে গাড়ী শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ গাড়ী শ্রমিকরা লাঠি-সোটা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পয়েন্ট এলাকায় থাকা বিএনপির বেশ কয়েকটি বিল বোর্ড ভাংচুর করে।

Shamol Bangla Ads

দিনভর দফায়-দফায় সংঘর্ষে এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের পাবেল (২০), আব্দুল আউয়াল (২৫), হোসেন (১৮), মহসিন (২০), মুহিত (২৫), ছৈলা-আফজালাবাদ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান (৩৫), আবু তাহের (২৫) সহ ১০জন ও রহিমের মালিকানাধীন ইতি টেলিকমের কর্মচারী জালাল উদ্দিন (২৩), সাবেক এমপি মিলনসহ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মতিউর রহমান রোমান (২৮), কৃষকদলের সভাপতি সালেহ আহমদ (৪০), ছাত্রদলের রইছ উদ্দিন কামরান (২৬), আব্দুল্লাহ আল-মুমীন (২৮), ইসলাম উদ্দিন (২৫), সারওয়ার (২৩), শানুর (৩০), ফয়ছল (২৫), আল-আমিন(২২), ফজর আলী (২৫), জাহির খান (২৭), সোহাগ (২০), সাজিদ (২২), বাবলু (২৩), কাওছার (২২), জাহাঙ্গীর (২৫), সাজু (২১), আসকর আলী লাভু (৪৫), আবুল কয়েছ (২৫) পাবেল (২০), আলা উদ্দিন (২৫), পথচারি কুটি মিয়া (৪০),  আ’লীগ ও ছাত্রলীগের মঞ্জুর আলম (৩২), রহিম (৩০), সুরেতাজ (২৯), টিএম রায়হান (২২), সাহেদুজ্জামান লিয়ন (২৫), শাহাব উদ্দিন (২৮), ইকবাল (১৮), লোকমান (২৮), ফয়জুল আলম লিটন (২৭), ছায়াদ (২৮), নূরুল (৩০), ফয়ছল (২২), শিমুল (২০), রিপন (২৫), সুমন (১৭), রুবেল (২৫), আব্দুর রহমান (২০), শহীদ (৩৭), বাবলু (২০), রুবেল (১৮) এবাদুর (২১), জলাল (২৬), রাসেল (১৮), পিয়ার আলী (২২), বিরহাম (২৬), শাওন (২৩), নয়ন (২২), মারওয়ান (২১), মামুন (২০), জমির (২৭), নছর (২৫), বদরুল (২৪), মামনুন (২৩), বুরহান (২৫), ওবায়দুর রউফ বাবলু (২২), ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন, শাকিল আহমদ, ইকবাল হোসেন, মানিক মিয়া, বেলাল আহমদ, শ্রমিক লালু মিয়া, এসআই সাইফ ও ৭ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের মধ্যে আতিককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সুনামগঞ্জ থেকে ক্যাপ্টেন হাসান ও সিলেট থেকে মেজর সাবের আহমদের নেতৃত্ব দু’প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এছাড়া সুনামগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব আহমদ ও ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইনুর আক্তার পান্না ঘটনাস্থলে পৌছলে বিকেল প্রায় ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। এদিকে গোবিন্দগঞ্জে সংঘর্ষের জের ধরে ছাতকে বিএনপি লাঠি-সোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় মিছিল থেকে ১০-১২টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটানো হলে শহরজুড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!