শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় থাকলেও ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা কি হবে এবং তা কবে গঠিত হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও বিদায়ী সরকারের ‘সর্বদলীয় সরকার’ গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সব মন্ত্রী।
এখন তফসিল কবে আর ভোটই বা কবে হবে- এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খেলেও নির্বাচন কমিশন মোটেই বসে নেই। তারা নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বেই জাতীয় নির্বাচন সেরে নিতে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছেন- এমন তথ্য পাওয়া গেছে নির্বাচন কমিশন সূত্র থেকেই। কমিশন সূত্র জানায়, ভোটের পর নির্বাচিতদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে অন্তত: ১০ দিন সময় দরকার হয় নির্বাচন কমিশনের। তাই ১৫ জানুয়ারির আগেই ভোট শেষ করার কথা ভাবছে কমিশন।
কমিশন সূত্রমতে, আগামী নির্বাচনে দেশে ভোটকেন্দ্র থাকবে প্রায় ৪৪ হাজারেরও বেশি। ওইসব কেন্দ্রে লাগবে আড়াই লাখ স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স। কমিশনের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে এরই মধ্যে মজুদ আছে দুই লাখের বেশি বাক্স। আর নতুন করে কমিশন সংগ্রহ করছে ৪০ হাজার। এরই মধ্যে ব্যালট বাক্স এবং সিল পাঠানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে। ১০টি অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে নতুন আনা ৪০ হাজার স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ১২ লক্ষ সিল। দ্বিতীয় চালান হিসেবে যাবে আরও ১২ লক্ষ সিল। আগামী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কাজে দায়িত্ব পালন করবেন প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ কর্মকর্তা। তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়েও প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে কমিশন। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকায় প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেবেন তারা। এই কার্যক্রম চলবে ভোটের ২ থেকে ৩ দিন আগ পর্যন্ত।
নির্বাচনের জন্য আরেক প্রস্তুতি ব্যালট পেপার ছাপার কাজ অবশ্য শুরু করতে হবে প্রার্থীতা চূড়ান্ত হওয়ার পর। তবে এর জন্য কাগজ এবং কালি কিনে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। ৯ কোটিরও বেশি ব্যালট পেপার ছাপা হবে বিজি প্রেসে।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ জানান, তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেয়া, বাছাই, প্রত্যাহারের জন্য ৩ সপ্তাহের বেশি সময় লাগে। এরপর প্রার্থীদেরকে প্রচারের জন্য সাধারণত আরও ৩ সপ্তাহ সময় দেয়া হয়। সব মিলিয়ে ভোটের ৪০ থেকে ৪৫ আগে ঘোষণা করা হয় তফসিল। ওই হিসাবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ঘোষণা হতে পারে তফসিল।