এস.এম তারেক নেওয়াজ, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তাই নবান্ন উপলক্ষে আমন ধান সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের কৃষক-কৃষাণীরা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। চারদিকে নতুন ধানের মৌ-মৌ গন্ধে মূখরিত গ্রামীণ জনপথ। তাই আনন্দিত কৃষককুল।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭১০০ হেক্টর কিন্তুু আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৩শ হেক্টরেরও বেশি। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩২ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে আরও অনেক বেশি।
সরেজমিনে উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক-কৃষাণীরা আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এসময় আদর্শ কৃষক এখলাছ সরকার, নন্দু মিয়া ও আলাউদ্দিনসহ অনেকেই জানান, অনুকুল পরিবেশ ও পোকা মাকড়ের আক্রমন কম থাকায় এ বছর কৃষরা আমনের ভাল ফলন পেয়ে তারা খুবই খুশি। তারা আরও জানান, এ বছর আমন রক্ষায় পার্চিং ও আলোর ফাঁদ পদ্ধতিতে কীটনাশক ছাড়াই পোকা দমন করে অধিক লাভবান হয়েছেন। তাছাড়া গত বছরের তুলনায় এবার ধানের ফলনও হয়েছে বাম্পার। গড়ে হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে প্রায় ৫ মে. টন। তবে তারা ধানের ন্যায্য মূল্য নিয়ে শংকিত রয়েছেন। কেননা গত বছর ধানের দাম কম এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের মণ প্রতি ১শ ৫০ থেকে ২শ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছিল।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুলতান আহম্মদ জানান, আমন মওসুমের শুরুতে কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীগণ সার্বক্ষণিক কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধকরণের ফলে এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে ভালভাবে ধান মাড়াই সম্পন্ন করতে পাড়লে লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি ধান উৎপাদনের আশা করছেন।