শ্যামলবাংলা ডেস্ক : প্রধান বিরোধী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিরোধীদলীয় নেতার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করা হয়েছে। ৮ নভেম্বর শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ব্যারিস্টার মওদুদ, এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়াকে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে থেকে এবং আবদুল আউয়াল মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাসকে রাত ১টার দিকে চেয়ারপারসনের বাসভবন থেকে বেরোনোর পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে।
এর আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ৭২ ঘণ্টা হরতাল ঘোষণার পরপরই রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাতে কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ সরে গেলেও তাঁর বাসভবনের সামনে বিপুলসংখ্যক সাদা পোশাকের পুলিশ অবস্থান নেয়। এ সংবাদ জানার পর মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাস রাত ১২টার দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন।
এদিকে দলের সিনিয়র নেতাদের আটকের প্রতিবাদে শুক্রবার রাতে রাজধানীতে ৫টি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ৩ স্থানে অন্তত: ১০টি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন নেতা শুক্রবার বিকেলে সোনারগাঁও হোটেলে একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে আটক করা হয়। ৩ নেতাকে আটকের পর রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুর, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ধানমণ্ডির শঙ্কর, সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের গুলশানের, সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির ধানমণ্ডির ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীমের ধানমণ্ডির বাসায় পুলিশ অভিযান চালায়। তবে কোনো নেতাকেই বাসায় পাওয়া যায়নি।
মওদুদ, এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়াকে আটকের পর রাত ১০টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির পক্ষ থেকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে দপ্তরের দায়িত্বে থাকা দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ৩ নেতাকে মুক্তি দেওয়া না হলে আগামী ৭২ ঘণ্টার হরতাল তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। হরতালসহ আন্দোলন কর্মসূচি আরও বাড়ানো হবে।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, হরতালে নিরীহ মানুষ খুন এবং খুনের পরিকল্পনায় জড়িত থাকায় বিএনপির ৩ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি সংসদেও বলেছিলাম, যাঁদের কারণে এই নিরীহ লোকজন হরতালে আহত বা নিহত হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।