শুক্রবার , ৮ নভেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

হার দিয়ে শেষ, তবুও এটা স্বপ্নের সিরিজ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ৮, ২০১৩ ২:২২ অপরাহ্ণ

PM With Bd Teamশ্যামলবাংলা স্পোর্টস : হার দিয়ে রোমাঞ্চকর এক সিরিজের সমাপ্তি হলেও এটা বিয়োগান্ত কিছুতেই নয়। তুলনামূলক কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ দলের গেঁথে চলা প্রাপ্তির অনন্য মালাটা যেন টি-টোয়েন্টির হার আরও দৃশ্যমান করে তুলল। নিউজিল্যান্ড বুধবার পুরো সিরিজের একমাত্র ১৫ রানের জয় পেল বলেই না আরো বেশি করে বোঝা গেল যে এর আগে কী দারুণ সময়ই না পার করে আসছিলেন মুশফিকুর রহিমরা!  সফরের একমাত্র জয়টি যখন আজ থেকে বহুদিন পর নিউজিল্যান্ডের জন্য স্মৃতির নুড়িপাথর হবে, তখন বাংলাদেশের কাছে সদ্যসমাপ্ত সিরিজটা ফেলে আসা দিনের এক হীরকখণ্ডই মনে হবে যেন!
মুশফিকদের একের পর এক সাফল্যে ইতোমধ্যেই  নির্বাচক হাবিবুল বাশারও একবাক্যে রায় দিয়ে দিচ্ছেন যে, ‘এটাই বাংলাদেশের সেরা সিরিজ।’ এই সাবেক অধিনায়ক এমন সময়ে নেতৃত্ব পেয়েছিলেন যখন বাংলাদেশ দলের কাছে জয় মানেই ছিল দূর নক্ষত্র। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর পর দীর্ঘ ৫ বছর আর কোনো জয়ের মুখই দেখা হয়নি। হাবিবুল অধিনায়ক হওয়ার পরে সেই জয় বন্ধ্যাত্ব ঘুচেছিল। এরপর ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ইতিহাস গড়া সেই বিশ্বকাপ।
এই সিরিজের টেস্ট সিরিজ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ভালো খেলে গেছে। যে জন্য হাবিবুলও আর তাঁর স্তুতি শুধুই ‘সেরা সিরিজ’-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখছেন না, ‘এর আগে কখনোই বাংলাদেশ টানা এত দিন ধরে ভালো খেলেনি।’ চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে শুরু। সেখানে প্রভাব বিস্তারী পারফরম্যান্সে ড্র। ঢাকায় পরের টেস্টে একটা সময় পর্যন্ত কিছুটা বিপন্ন কিন্তু খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ বাঁচানোর দৃঢ়তাও দেখিয়েছেন ক্রিকেটাররা। এরপর ৩ বছর আগের সেই ৪-০’র আবহে শুরু হওয়া ওয়ানডে সিরিজে কিউইদের দুমড়ে-মুচড়ে দেওয়া পারফরম্যান্স।
তাই অন্তত টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা জিতে একটা জয় নিয়ে ফেরার জন্য কিউইদের আকুতিই বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে গত এক মাসে বাংলাদেশ সফরে তাঁরা কতটা মরণাপন্ন অবস্থায় ছিল। তাঁদের বিপক্ষে অনেকের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের ঝলক ছড়িয়েছে আলোর রোশনাই। চট্টগ্রাম টেস্ট দেখেছে সোহাগ গাজীর একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিকের বিশ্বরেকর্ড। একই টেস্ট দেখেছেন মমিনুল হক নামের নতুন এক তারকার উত্থানও। এরপর ওয়ানডে সিরিজে সাকিব আল হাসান নেই কিন্তু দলেবলে তাঁর অনুপস্থিতি বুঝতে না দেওয়া পারফরম্যান্স।
সুবাদে তৈরি হলো এমন এক সংকট, যেটা যেকোনো অধিনায়কের জন্যই পরম প্রার্থিত। কাকে বাদ দিয়ে কাকে নেবেন, এই নিয়ে দোটানা। আর এত সাফল্যের মাঝেও নিজেদের ভুল চিহ্নিত করে তা শোধরানোর জন্য মুশফিকরা মরিয়া হয়ে আছেন। এতেই যেন লুকিয়ে ভবিষ্যৎ সাফল্যের মন্ত্র। মুশফিক অবশ্য নিউজিল্যান্ড সিরিজের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ধরছেন এটাকেই, সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো, খারাপ পরিস্থিতিতে যখন যার পারফর্ম করার দরকার ছিল, সে সেটা করেছে। নির্দিষ্ট কারও ওপর নির্ভর করে থাকার দিনও যে ফুরিয়েছে নিউজিল্যান্ড সিরিজে, সেটাও বলতে ভুললেন না অধিনায়ক, শুধু আমরাই না, একজনের ওপর এখন কোনো দলই নির্ভর করে না। একজনই সব সময় ভালো করে যাবে আর তার ওপরই চাপ থাকবে, এ রকম ব্যাপারও এখন আমাদের নেই। নিজে না পারলেও জানেন কেউ না কেউ তাঁর ব্যর্থতা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি আছেন, আমার এখন মনে হয়, আমি না পারলেও আমাদের আরো ব্যাটসম্যান আছে, যারা কিছু করবে। প্রতিদিন একজন খেলোয়াড়ের ভালো যায় না। সে জন্য বারবারই বলি যে আমাদের পারফরমার এখন অনেক বেশি। দলীয় সংগীতের সুরটাও তাই এখন আরো সুমধুর, দলীয়ভাবে আমরা এখন ভালো পারফর্ম করছি। টিম স্পিরিটও অনেক ভালো। সবাই চিন্তা করে দল আগে। এটা আগেও ছিল। তবে এই সিরিজে আরো বেশি ছিল। সে জন্য দলীয় ফলাফলটা ভালো হয়েছে। শেষের হারে যেন সেই দলীয় সাফল্যের মহিমা আরো বেশি ফুটে উঠছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!