শুক্রবার , ৮ নভেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জের ৬ আসনেই তৎপর উভয় জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ৮, ২০১৩ ৬:১১ অপরাহ্ণ

Electionহুমায়ুন কবীর মৃধা, সিরাজগঞ্জ : নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান ২ জোটের এখনও কোন সমঝোতা না হলেও এবং সমঝোতা না হলে নির্বাচনে বিরোধী জোটের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত অবস্থায় রয়ে গেলেও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনেই নির্বাচনী উত্তাপ গড়িয়েছে মাঠে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে মাঠ গরমের পাশাপাশি নির্বাচনের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা সরকারী দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ, আলোচনাসভা, মতবিনিময় জনসভা, ঈদ পুনর্মিলনীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে ভোটারদের পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষেরও দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলার ৬টি সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্থানীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনের কাছে দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, সড়কের মোড়ে, বড় বড় গাছের ডালে, বিদ্যুতের খুঁটিতে ডিজিটাল পোস্টার লাগিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া শুরু করেছেন তারা। তবে এবারের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনের মধ্যে দু’একটি ছাড়া বাকি আসনগুলোতে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে নতুনদের অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি দলের হাইকমান্ডের বিবেচনায় রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র আভাস দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জের ৬ আসনের মধ্যে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫টি পেয়েছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট। এবারের নির্বাচনে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় দলীয় অন্তর্কলহ বা কোন্দল রয়েছে। এটা নিরসন না হলে আসন ধরে রাখা বা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। একইভাবে বিএনপিতেও এবার একাধিক আসনে নতুন মুখ আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। তবে এখনই চূড়ান্ত করে কিছু বলা যাবে না বলেও সূত্র জানিয়েছেন।

Shamol Bangla Ads

সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর) : আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। এ আসনে প্রতিবারই আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে এ আসনে রয়েছে আওয়ামী লীগের শক্ত সাংগঠনিক ভিত্তি। যে কারণে আসনটি মোহাম্মদ নাসিমের এবং নৌকার ঘাঁটি হিসেবে দেশের সর্ব মহলে পরিচিত। তবে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা হারালে তাঁর ছেলে তানভীর শাকিল জয় এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এ বছর এখান থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর অন্যতম সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন। তাঁর ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় পরিষ্কার বলে দিয়েছেন এবার তাঁর বাবা মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিয়াজউদ্দিনও মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। অন্যদিকে বিএনপি থেকে এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে এলাকায় তৎপর রয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন চৌধুরী, শহর বিএনপির সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, শহর বিএনপির ভাইস-প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট শিল্পপতি তুষার তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কাজিপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুস সালাম, সদ্য বিএনপিতে যোগদানকারি বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী কনক চাপা ও অধ্যাপক মো. রহমতুল্লাহ আয়ুব এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। এছাড়া এ আসনে সিপিবি’র জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহেল বাকী প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) : সিরাজগঞ্জ জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হয় সদর আসন থেকেই। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপি প্রার্থী রুমানা মাহমুদ আওয়ামী লীগের জান্নাত আরা তালুকদার হেনরীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। এ আসনে আওয়ামী লীগের কোন্দলে দলের নেতৃত্বে বহুমাত্রিক প্রভাব পড়েছে। বিএনপিতেও রয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব বা কলহ। উভয় দলের মধ্যেই সাংগঠনিক কোন্দল থাকায় একাধিক নতুন মুখ মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসন থেকে যারা কাজ করছেন তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জামাতা সিরাজগঞ্জের সন্তান অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, মহিলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা নবম সংসদ নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী। জনশ্র“তি রয়েছে এ আসন থেকে কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম নির্বাচন করতে পারেন। এছাড়া জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইসমাইল হোসেন, জেলা বাসদ নেতা কমরেড আবু বকর ভুঁইয়াও দলীয় প্রার্থী হতে এলাকায় তৎপর রয়েছেন। তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
অন্যদিকে এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে তৎপর রয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বর্তমান এমপি তাঁর স্ত্রী রুমানা মাহমুদ স্বামী ইকবাল হাসান মাহমুদকে মনোনয়ন পেতে সহায়তা করবেন এটা নিশ্চিত। তবে ১৮ দলীয় জোট থেকে কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খান, মেজর (অব) মোহাম্মদ হানিফ ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা মোস্তফা জামানও মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। আর জাতীয় পার্টি থেকে জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঝন্টু এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে ভোটযুদ্ধ হবে সেয়ানে সেয়ানে।

Shamol Bangla Ads

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) : এ আসনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিপ্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদারকে পরাজিত করে মহাজোটপ্রার্থী ইসহাক হোসেন তালুকদার জয়লাভ করেন। কিন্তু রায়গঞ্জ-তাড়াশে সরকারের পৌনে ৫ বছরে প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়নি। পাশাপাশি সাংগঠনিক কাঠামোর ভিতও মজবুত হয়নি। এ আসনে বিএনপির জোট এবং আওয়ামী লীগের মহাজোটে রয়েছে সাংগঠনিক কোন্দল। ফলে উভয় দলেই একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী। এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে যারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদার, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরেবাংলার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, বিশিষ্ট শিল্পপতি লুৎফর রহমান দিলু, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মুনসুর, রিটা কে আফজাল ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার রায়।
অপরদিকে বিএনপি থেকে ৪ বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান তালুকদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রামবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিশির, বিশিষ্ট শিল্পপতি দুলাল হোসেন খান, খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি সাবেক ভিপি আয়নুল হক, অষ্ট্রেলিয়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাকিবুল আলম মিঞা অপু, রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আসাদুল হক দুলাল ও জামায়াত থেকে রায়গঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন। এ আসনে ভোটারদের মধ্যে তারুণ্যের প্রভাব রয়েছে। তরুণরা চায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একজন যোগ্যপ্রার্থী।

সিরাজগঞ্জ- ৪ (উল্লাপাড়া) : নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মহাজোট মনোনীত আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বিএনপির এম আকবর আলী ও জামায়াতের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম খানকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। ক্ষমতার পৌনে ৫ বছরে তার নেতৃত্বে এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। তবে সরকারী দলের এমপি হিসেবে শফিকুল ইসলাম সফি দলকে সংগঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে রয়েছে সাংগঠনিক কলহ ও কোন্দল। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী শফিকুল ইসলাম সফি, প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ মির্জার মেয়ে সেলিনা মির্জা মুক্তি, সাবেক পৌর মেয়র এ্যাডভোকেট মারুফ বিন হাবিব, নবী নেয়াজ বিনু।
অন্যদিকে বিএনপি থেকে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে কাজ করছেন তারা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য এম আকবর আলী, বিশিষ্ট শিল্পপতি কাজী কামাল, এ্যাডভোকেট সিমকী ইমাম খান, জামায়াতে ইসলামী থেকে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খানও মাঠে রয়েছেন। তবে রফিকুল ইসলাম খান নির্বাচন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ভোটারদের মধ্যে। এ আসন ধরে রাখতে দলীয় কোন্দল নিরসনের কোন বিকল্প নেই।

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-এনায়েতপুর-চৌহালী) : এ আসনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভোট প্রায় সমান-সমান। এ আসনটি ছিল বেলকুচি-কামারখন্দ উপজেলার সমন্বয়ে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সীমানা পরিবর্তন হয়ে বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলা মিলে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে একীভূত হয়। ওই সময় ৪ দলীয় জোটপ্রার্থী মেজর মঞ্জুর কাদেরকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ নেতা মহাজোটপ্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস নির্বাচিত হন। পরে তিনি মহাজোট সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নিযুক্ত হন। সরকারের মন্ত্রী হয়ে লতিফ বিশ্বাস তাঁর নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ সাফল্য দেখিয়েছেন। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। তবে তাঁর নির্বাচনী এলাকা বিশেষ করে তাঁতসমৃদ্ধ বেলকুচিতে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করে গড়ে তোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা দল সংগঠিত করতে আশানুরূপ সফল হয়নি। এ আসন পুনরুদ্ধারে দলকে সংগঠিত করা ছাড়াও উন্নয়নের সুফল সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার কোন বিকল্প নেই। এ আসন থেকে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন তারা হলেন আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান রানা, জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল মজিদ মন্ডল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মোহন।
অন্যদিকে বিএনপি থেকে কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিল্পপতি গোলাম মাওলা খান বাবলু ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর হোসেন ও জামায়াতে ইসলাম থেকে বর্তমান বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আলম মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর-এনায়েতপুরের একাংশ) : শাহজাদপুর নির্বাচনী এলাকায় ’৭৫ পরবর্তী সব সংসদীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগপ্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। সেই শাহজাদপুরের সংসদীয় আসনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি চয়ন ইসলাম বিএনপিপ্রার্থী কামরুদ্দিন এহিয়া খান মজলিশকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। এ আসনে তার নেতৃত্বে উন্নয়ন কর্মকান্ডও বাস্তবায়িত হয়েছে অনেক। তবে দলের সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত নয় এখনও। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাসিবুর রহমান স্বপন, হালিমুল হক মিরু, জেলা পরিষদ প্রশাসক বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল মজিদ মন্ডল, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন মনোনয়ন প্রত্যাশী।
অন্যদিকে বিএনপি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য কামরুদ্দিন খান এহিয়া মজলিশ, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রখ্যাত চিকিৎসক প্রয়াত ডা. এম এ মতিনের ছেলে ডা. এম এ মুহিত, হোসেন শহীদ মাহমুদ গ্যাদন ও গোলাম সারোয়ার মনোনয়নের জন্য এলাকায় গণসংযোগসহ দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাসদ থেকে উপজেলা বাসদের সমন্বয়ক  এ্যাড. আনোয়ার হোসেনও প্রার্থী হতে তৎপর রয়েছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!