ঝালকাঠি সংবাদদাতাঃ- ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইস্কান্দার আলী খানের বিরুদ্ধে গৃহকধুকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্লীতাহানীর স্বীকার কেওড়া ইউনিয়নের পাকমহড় গ্রামের গৃহবধু জানান, সন্ধার পরে মেম্বর ইস্কান্দার আলী আমার ঘরে ঢুকে প্রথমে চা খাবার কথা বলে ঘরে বসে। এরপরে সে আমাকে ঝাপটে ধরে। আমি ইজ্জত বাচাতে তার লিঙ্গে ব্লেড দিয়ে পোচ দেই। এতে ইস্কান্দারের লিঙ্গ আংশিক কেটে যায়। পরে আমার ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে মেম্বরকে মারধর করে। ওই গৃহবধু আরো বলেন, মেম্বর ইস্কান্দার আমার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে ৩ বছর যাবৎ আমাকে বিরক্ত করে আসছে। এ ব্যাপারে আমি এলাকাবাসীর কাছে নালিশও করেছি। ২ বছর আগে একদিন ২ কেজি চাল দেবার কথা বলে আমাকে তার বাসায় নিয়ে শ্লীতাহানীর চেষ্টা করেছিল ইস্কান্দার। আমার স্বামী ষ্ট্রোক করায় এবং সামান্য খেয়া নৌকা চালানোয় আমরা প্রভাবশালী মেম্বরের বিরুদ্ধে এতদিন মুখ খুলতে পারিনি। রওশনার পরিবার জানায় এই ঘটনায় তারা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এলাকার দফাদার শাহজাহান বলেন, চৌকিদার আমাকে ফোন করে বলেছে, গৃহবধুকে ধর্ষন করতে যাওয়ায় ইস্কান্দার মেম্বরের লিঙ্গ অর্ধকর্তন করেছে গৃহবধু। চৌকিদার রেজাউল জানায়, ঘটনা শুনে আমি আফজালের ঘরে যাই। আমি যাবার আগে মেম্বর সেখান থেকে চলে যায়। এরপর আশেপাশের লোকজন ও আফজালের কাছে ধর্ষন করার চেষ্টা ও লিঙ্গ কর্তনের ঘটনা শুনি। কেওড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ উজ্জল বলেন, এলাকাবাসীর কাছে শুনেছি ইস্কান্দার আলী ধর্ষন করতে গিয়ে মারধর ও লিঙ্গ কর্তনের স্বীকার হয়েছে। এদিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেম্বর ইস্কান্দার আলীকে দেখতে যাওয়া একাধিক ব্যক্তি লিঙ্গ কর্তনের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। এলাকাবাসী জানান, এর পূর্বেও মেম্বর ইস্কান্দার আলী আরো ২ বার মহিলাদের শ্লীতাহানী করেছে। তবে ঘটনা অস্বীকার করে ইস্কান্দার আলীর ছেলে মজিবর বলেন, পূর্ব শত্র“তার কারনে সন্ধার পরে বাড়ীতে আসার পথে রাস্তায় আমার বাবার উপর হামলা করা হয়েছে।