মো.মহসিন মাতুব্বর আমতলী(বরগুনা) : বরগুনার আমতলী উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ হরতাল অবরোধের অবসান দাবি করেছেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, দক্ষিণ জনপদের বরগুনা থেকে বিলীন হয়ে গেছে অভাব।
আর্শি¦ন কার্তিকের অভাবের কথা নতুন প্রজন্ম জানেই না। এমনকি মাঝ বয়সী কিংবা ষাটোর্ধ বৃদ্ধরাও ভুলতে বসেছে। এ অবস্থায় হরতাল-অবরোধ দূর হলে কেটে যাবে মানুষের এ দুর্ভোগ।
পেশাজীবীদের অনেকেই বলছেন, চার বছর আগেও কার্তিক মাস এলে অভাবী মানুষ দলে দলে শহরের দিকে কাজের সন্ধানে ছুটত, সেই চিত্র পুরোটাই বদলে গেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি গ্রহণ করায় এমন দৃশ্যপট সৃষ্টি হয়েছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের দিনমজুর আ.জব্বার (৪৫) জানান, আগে কার্তিক মাসে কোন প্রকার কাজ না থাকায় মানুষ পেটের ক্ষুধা মেটাতে কচু ঘেচু খেত, কিন্তু বর্তমান সরকার এ সময়ে কর্মসৃজন প্রকল্প চালু করায় মানুষ কাজ পাচ্ছে। ফলে আর্থিক সংকট থাকছে না।
চাওড়ার চাষী মস্তফা খান (৫৫) জানান, বিগত সময়ে আশ্বিন /কার্তিক মাসে বাড়তে(বাড়ীতে)খাওন(খাবার)থাকতো না।
যার কারণে কার্তিক মাসে কৃষকের ঘর খাদ্যশূন্য হতো। এতে করে আর্শ্বিন কার্তিকের অভাব সাধারণ কৃষকরা উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন কাটাত। কিন্তু এখন আগাম জাতের জাতের ধান চাষ করায় সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে।
এ জাতের ধান মাত্র সাড়ে তিন মাস (১০৫ দিন) বয়সে কাটা মাড়াই করা যায়, ফলনও হয় বেশ ভালো। অথচ অন্য জাতের ধান পাকতে সময় লাগে পাঁচ মাস (১৫০ দিন), ফলনও কম। তাছাড়াও বিনা ৭-৮ জাতের ধান কাটা মাড়াইয়ের পরেই ওই জমিতে রবি শস্য চাষ করা হয়ে থাকে। ফলে কৃষকের খাদ্য সমস্যাও মিটছে এবং আর্থিক আয়ও বাড়ছে।
আমতলী উপজেলার মনিকজুড়ির রিক্সাচালক মো.আবুল হাফেজ (৪০) অভিযোগ করে বলেন হরতাল, অবরোধ দেশে হলে তাদের আয়ের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। তার মতে হরতাল-অবরোধের অবসান হওয়া প্রয়োজন।
আমতলী উপজেলার প্রবীন শিক্ষক দেওযান মজিবুর রহমান জানান দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে দেশের অগ্রগতির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ওই কর্মসূচি থেকে বিরত থাকা উচিৎ।