হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)সংবাদদাতাঃ কিশোরগঞ্জ হোসেনপুরে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে পথচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন কুকুরের আক্রমনে আহত রোগির সংখ্যা বেড়েই চলছে। ফলে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ও জলাতঙ্ক রোগের ভয় নিয়েই শিক্ষার্থী ও পথচারী চলতে বাধ্য হচ্ছে।তাই ভুক্তভোগীরা এসব বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন।
৭ নভেম্বর সরেজমিনে বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখাযায়, হোসেনপুর পৌর এলাকার সর্বত্রই খাদ্য দ্রব্যের খুজে বেওয়ারিশ কুকুর গুলো দল বেধেঁ চলাচল করছে এবং ব্যাগ ও ঠুঙ্গা হাতে পথচারী দেখলেই আক্রমনাত্বক হয়ে উঠছে। এসব কুকুর গুলো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় ,দোকানপাট,বাসাবাড়ি,সরকারী অফিস ও হাসপাতালের বারান্দায় সংঘবদ্ধ ভাবে ঘুরাঘুরি করে থাকে। ফলে শিশু সহ স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীরা নির্ভয়ে রাস্থা দিয়ে চলাচল করতে পারছেনা। পৌর এলাকার সমাজ সেবক আজিজ মাষ্টার সহ অনেকেই জানান,বেওয়ারিশ কুকুরে সংখ্যা যে হারে বাড়ছে,অতি দ্রুত কুকুর র্নিধন করা না গেলে আশঙ্কা করা হচ্ছে অচিরেই হোসেনপুর পৌর এলাকা কুকুরের শহরে প্ররিণত হবে।
তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়,গত এক মাসে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ রাস্থার মোড়ে বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণে প্রায় অর্ধশতাধিক শিশু-বৃদ্ধ,শিক্ষার্থী ও পথচারী আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়, ২০০৬ সালের পর থেকে অদ্যবধি কুকুর নিধন না করায় হোসেনপুর পৌর এলাকা সহ উপজেলার সর্বত্র বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান জানান, এ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধ,দক্ষ জনবল ও যন্ত্রপাতি না থাকায় বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা সম্ভব হচ্ছে না।তবে শিঘ্রই কুকুর নিধন কার্য়ক্রম শুরু করার আশ্বাস দেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ.জেড.এম বদরুল হাসান জানান, পৌরসভা ঘোষিত হওয়ার পর কুকুর নিধনের দায়িত্ব পৌর কতৃপক্ষের। এ বিষয়ে তারা প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগীতা চাইলে পেতে পারেন বলে মন্তব্য করেন।