বৃহস্পতিবার , ৭ নভেম্বর ২০১৩ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

চলনবিলের জলাবদ্ধতা দুরীকরণে দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ৭, ২০১৩ ৯:২৩ অপরাহ্ণ
চলনবিলের জলাবদ্ধতা দুরীকরণে দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন

হুমায়ুন কবির মৃধা,সিরাজগঞ্জ ঃ দেশের বৃহতম বিল চলনবিলের জলাবদ্ধতা দুরীকরনে  সংযোগ নদী ও খাল পূনঃ খননের জন্য সংশি¬ষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে  বৃহস্পতিবার উল¬াপাড়া অরিডার কার্যালয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে বেসরকারী এনজিও সংস্থা অরিডার নির্বাহী পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, পাশ্চত্য দেশগুলোর দুই’শ বছরের দাহনের ফলে বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে  সারা বিশ্বে আজ বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। তারমধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশী ক্ষতির সম্মূখিন হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ আর এই কৃষির ক্ষতির পরিমান অনেকাংশে বেশী আর সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মৎস্য চাষ। জাতীয় কৃষি নীতিতে এবং সামগ্রিক কৃষি সংস্কার কর্মসূচীর উপর এর প্রভাব বেশী পরিলক্ষিত হয়। কৃষি,মৎস্য ও খাদ্য নিরাপত্তায় জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে  ক্ষতি উত্তোরনের জন্য চলনবিলের কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য নিরাপত্তা লক্ষ্যে চলনবিলের জলাবদ্ধতা দুরীকরনে জন্য খাল ও নদী সংস্কারের  প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন চলন বিলের খাল ও নদী খননের অভাবে নাব্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় চলনবিলের বিভিন্ন খাল বিলের বুকে চর জমে উঠেছে। সংযোগস্থল গুলোতে চর পড়ায় পানি প্রবেশ এবং বের হতে পারে না। যা সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই খাল ও নদী পানিতে ভরে কৃষি জমিতে প্রবেশ করে ফসলহানি ঘটায়। তাছাড়া যত্রতত্র বাধ নির্মান করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই জলাবদ্ধতার কারনে অনেক কৃষি  জমি অনা-আবাদি হয়ে পড়েছে। চলনবিলের নদ-নদী ও খালবিলে চর পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বন্যার পানি দ্রুত নেমে যায় এবং মাছের অভায়শ্রাম না থাকায় ভরা মৌসুমেও মাছের সংকট দেখা দেয়। এতে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছের বিভিন্ন প্রজাতি। দীর্ঘদিন খাল ও নদী খননের অভাবে চলনবিলের  মৎস্য সম্পদ, শামুক, ঝিনুক সহ অন্যান্য জলজ সম্পদ আজ বিলুপ্তির পথে। এভাবে চলতে থাকলে চলনবিলে খাদ্য নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়বে। এতে এ জনপদের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতির সন্মুখিন হবে। তাই দ্রুত চলনবিলের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর খাল বিল পূনঃখনন এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সংশি¬ষ্ট দপ্তরগুলোকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি। সংবাদ সম্মেলনে চলনবিলের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত যেসব নদী ও খাল সমূহ খননের দাবী জানানো হয়েছে সেগুলো হচ্ছে উধুনিয়া বেতাগা নদী,আগদিঘলগ্রামের পশ্চিম বগুড়ার পূর্বদিয়ে বাগমারা পূর্বদিয়ে তেবাড়িয়ার পশ্চিম দিয়ে শ্যামপুরের পূর্ব হয়ে কাশিয়ার বিল পতিত হয়েছে। এটি পূর্ণঃ খনন করলে হাজার হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। উলে¬খ্য ইতোমধ্যে চলবিলের জলবায়ু বিপর্যয়ের হাত থেকে উত্তরনের জন্য ইউরোপিয় ইউনিয়ন, সিএসআরএল, গ্রো ও অক্সোফাম সহায়তা করে আসছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!