শ্যামলবাংলা ডেস্ক : রাজনৈতিক অস্থিরতা, উদ্বেগ ও আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তাপের মধ্যেই শুরু হয়েছে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা। প্রায় ১৯ লাখ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী জানান, ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এর ইংরেজি প্রথম পত্র এবং জুনিয়ার দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এর আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবার জেএসসিতে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩শ ১৩ জন এবং জেডিসিতে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৪শ ৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ লাখ ২ হাজার ৭শ ৪৬ জন। এ বছর দুই হাজার ৪২০টি কেন্দ্রে ২৭ হাজার ৭৪৮টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। এদের মধ্যে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৯১ জন ছাত্র এবং ১০ লাখ ৭ হাজার ৬শ ৫৫ জন ছাত্রী।
চলতি বছরের ৪ নভেম্বর জেএসসিতে বাংলা প্রথম পত্র, ৬ নভেম্বর বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং জেডিসিতে ৪ নভেম্বর কোরআন মাজিদ তাজবিদ, ৬ নভেম্বর আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হরতালের সহিংসতার কারণে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তে ৪ ও ৬ নভেম্বরের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে ৪ নভেম্বরের পরীক্ষা ৮ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টা থেকে আর ৬ নভেম্বরের পরীক্ষা ৯ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতিলেখক রাখার সুযোগ পাবে পরীক্ষায়।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে জেএসসি ও ২০১১ সাল থেকে জেডিসি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
