ads

বুধবার , ৬ নভেম্বর ২০১৩ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

২৯ হাজার শিক্ষক ৩৩ বছর যাবৎ চাকুরী করছেন বিনা বেতনে

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ৬, ২০১৩ ৫:৩৫ অপরাহ্ণ

madrasahলিয়াকত হ্সোাইন লায়ন, ইসলামপুর(জামালপুর) : ইসলামপুর উপজেলার এবতেদায়ী মাদরাসার অধিকাংশ শিক্ষকের দিনকাটে অনাহারে-অর্ধাহারে। ইতিমধ্যে সরকার দেশের প্রায় ৩০ হাজার রের্জিস্ট্রাড, কমিউনিটি ও প্রস্তাবিত প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিলেও প্রাথমিক শিক্ষায় সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের চাকুরি নামে রয়েই গেল বিনা বেতন। প্রায় তিন যুগ ধরে পাচ হাজার ৮০০ এবতেদায়ী মাদরাসার ২৯ হাজার শিক্ষক চাকরি নামের সোনার হরিণটি’র পিছু ছুটছে। তারা ৩৩ বছর যাবৎ বিনা বেতনে কাজ করছেন। অনেকে চাকরি শেষে শূন্য হাতে বাড়ি ফিরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।  প্রাথমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এসব সম্মানিত শিক্ষকদের দিকে কেউ নজর দেননি।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি মুসলিম অধ্যূষিত বাংলাদেশের মানুষের একই সাথে প্রাথমিক ও ধর্মীয়  শিক্ষা নিশ্চিত করতে ১৯৮০ সালে তৎকালিন সরকার এবতেদায়ী মাদরাসা নামে প্রাথমিক শিক্ষা সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ  গ্রহণ করেন । এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮০-৮৪ সালের মধ্যে দেশে পাঁচ হাজার ৮০০ এবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই সময় ইসলামপুর উপজেলার ৩৩টি এবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক হাজার ৫১৯ টি মাদরাসার ছয় হাজার ৭৬ জন শিক্ষক প্রতিমাসে মাত্র ১০০০ টাকা ভাতা পেলেও  চার হাজার ২৮১টি মাদরাসার ২২ হাজার ৯২৪ জন শিক্ষক দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে বিনাবেতনে কাজ করছেন। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ , প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ এবং জনপ্রশাসন বিভাগের যৌথ নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায় , শিক্ষামন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)’র অনুদানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে এক হাজার ৫১৯ টি মাদরাসার ছয় হাজার ৭৬ জন শিক্ষককে প্রতিমাসে মাত্র ১০০০ টাকা করে ভাতা ও পাচ হাজার ৮০০ মাদরাসার সকল ছাত্রছাত্রীকে বই প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের অনুদানে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান এবং জনপ্রশাসন বিভাগের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাদরাসা গুলোতে প্রশাসনিক ভাবে দেখাশুনা করছে। সম্পুর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমি পালনে নিবেদিত এবতেদায়ী মাদরাসা গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে ৩৩ বছরেও সরকারি অর্থায়নে একাডেমিক ভবন নির্মাণ হয়নি। শিক্ষক ও এলাকাবাসীর সহায়তায় নির্মিত ঘরেই চলছে শিক্ষাকার্যক্রম। ছাত্রছাত্রীরা সরকারি ভাবে বইপুস্তক পেলেও হতভাগ্য শিক্ষকরা পাচ্ছেনা সরকারি সহায়তা।
সকরারি সহায়তার মাধ্যমে শিক্ষকদের ভাগ্য পরির্বতনে তাদের সংগঠন জমিয়াতুল মুদারেছিন বছরের পর বছর দাবী আদায়ের আন্দোলন করলেও কোন সরকারই তাদের জন্য কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। অথচ একই সিলেবাসে শিক্ষাদানকারী দাখিল মাদরাসা সংযুক্ত ১৬ হাজার ৬৮টি এবতেদায়ী শাখার ৬৪ হাজার ২২৭ জন শিক্ষক প্রতিমাসে ৫৪০০ টাকা বেতন পাচ্ছেন। এছাড়া সমমানের প্রায় ৩০ হাজার রেজির্স্ট্রাড, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও অস্থিত্বহীন প্রস্তাবিত প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিলেও এবতেদায়ী শিক্ষকরা নূন্যতম সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জমিয়াতুল মুদারেছিনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জানান, সব সরকারই এবতেদায়ী শিক্ষকদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে। যে কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এতবেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা যুগ যুগ ধরে অবহেলিত রয়েগেছে। তারা চাকরি নামের সোনার হরিণটি আশায় আশায় আজীবন লালন-পালন করে এখন ক্লান্ত পথিক। তারা চাকরি শেষে বৃদ্ধা বয়সে বাড়ি ফিরেছেন শূন্য হাতে। এদের মধ্যে ইসলামপুরের সোনামুখী এবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষক আব্দুল করিম, আব্দুস সাত্তার, শশারিয়া বাড়ির আঃ ছালাম, দক্ষিন চিনাডুলীর মোজাম্মেল হক, পাচবাড়িয়ার কেরামত আলী ও পচাবহলা মোল­া পাড়া এবতেদায়ী মাদরাসাসহ শত শত শিক্ষক দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর বিনাবেতনে চাকরি করে খালী হতে বাড়ি ফিরেছেন। এসব শিক্ষক অবসরে এসে বৃদ্ধা বয়সে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেক সম্মানিত শিক্ষক অভাবের তাড়নায় অন্যের কাছে হাত বাড়াতেও বাধ্য হচ্ছেন।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!