এম. এ করিম মিষ্টার, নীলফামারী : ‘ও কি গাড়িয়াল ভাই, কত রব আমি পন্থে’র দিকে চাইয়া রে- জনপ্রিয় এই গানটি এখন আর শোনাই যায় না। তেমনি গ্রামবাংলার প্রাণপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি নীলফামারী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে প্রত্যন্ত এলাকায় দু’একটি গরুর গাড়ি চোখে পড়লেও তার অবস্থাও জরাজীর্ণ। আধুনিক সভ্যতার যান্ত্রিকতার গ্যারাকলে গ্রাম-বাংলার সেই পুরোনো ঐতিহ্য গরুর গাড়ি হারিয়ে যেতে বসেছে। এ কারণে শহরের ছেলে-মেয়েরা দূরের কথা, বর্তমানে গ্রামের ছেলে-মেয়েরাও গরুর গাড়ির শব্দটির সাথে পরিচিত নয়।
গ্রামের বয়োবৃদ্ধরা জানান, আগে বিয়ে বাড়ি বা মাল পরিবহনে গরুর গাড়ি ছিল একমাত্র ভরসা। গরুর গলায় ঘন্টা লাগিয়ে ছই উঠিয়ে ওইসব গরুর গাড়ি বিয়েতে বর-কনে, বরযাত্রী বহনের একমাত্র যান হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এছাড়াও সকল গৃহস্থ বাড়িতে দেখা যেতো গরুর গাড়ি। জমির ধান কাটার পর সেই ধান আনা হতো গরুর গাড়িতে। যাত্রীসেবায়ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সর্বত্র ব্যবহৃত হতো ওই গরুর গাড়ি। ভাড়ায়ও পাওয়া যেতো গরুচালিত ওই যান। কালের আবর্তে এখন আর গরুর গাড়ি নেই বললেই চলে। গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি। যান্ত্রিক যুগে এসে সেই প্রাণপ্রিয় গরুর গাড়ি এখন বিলুপ্তপ্রায়।