মো. ফরিদুজ্জামান, শ্রীবরদী (শেরপুর) : কুয়াশার আবরনে মুখ ঢেকে লজ্জাবতী নারীর বেশে আবির্ভাব ঘটেছে হেমন্তের। কার্ত্তিক ও অগ্রহায়ন মাস নিয়ে হেমন্তকাল। প্রস্তুত সোনার দেশের সোনার কৃষকরা। কবে ধান পাকবে, তুলবে ঘরে। ঘর সোনার ধানে ভরে যাবে। অভাবক্লিষ্ট গ্রামে ফিরবে স্বস্তির নি:শ্বাস। আগমনি শীতে তৈরী করবে নতুন নতুন পিঠা ও মুড়ি মুড়কি। শীতের শিরশিরে ওইসব অনুভুতি গ্রাম
বাংলার সব কৃষকের।
কিন্তু শ্রীবরদী অধিকাংশ কৃষকদের কিছু কিছু জমির ধান মরে যাওয়ায় ওইসব অনুভূতি থেকে বেরিয়ে এসে পড়েছেন বিপাকে। জমিতে ধানের ব্যাপক ফলনের আশা করলেও হঠাৎ কিছু কিছু জমির ধান মরে যাওয়ায় হতাশ স্থানীয় কৃষকরা। সমস্যাটি প্রথম প্রথম কম দেখা দিলেও দিন যতই গড়াচ্ছে ফসল মরে যাওয়ার হার ততই বাড়ছে।
স্থানীয় কৃষকদের ধারনা এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ না হলে ধান কাটার সময় পর্যন্ত অধিকাংশ ধান মরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারা আরও জানিয়েছেন, কিছু কিছু জমির ধান বের হলেও শীষ গুলো কালো হওয়ায় সেগুলো পেকে চিটায় পরিনত হচ্ছে। ওই সমস্যাগুলোর কারণ জানতে চাইলে অনেক কৃষকরা জানান, অনাবৃষ্টি আর বিগত ৬/৭ বছরে বড় কোন বন্যা না হওয়ায় জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, এক ধরনের পোকা আছে শুধু ধানের শেকড় কেটে দিনে দিনে স্থানান্তর হয় অন্য কোন জমিতে। যা কীটনাশক প্রয়োগেও ওইসব পোকা নির্মূল করা সম্ভব হয় না। এভাবে একের পর এক ধ্বংস করছে ক্ষেতের পর ক্ষেত। তাদের দাবি এ সমস্যাটি প্রতি বছরই কমবেশি দেখা দেয়। তবে এ বছর তুলনামূলক অনেক বেশি। এব্যাপারে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা এফএম মোবারক আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্যাটি সরেজমিন ঘুরে সমাধানের শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।