ads

সোমবার , ৪ নভেম্বর ২০১৩ | ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বগুড়ায় স্বতস্ফুর্ত হরতাল পালিত

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
নভেম্বর ৪, ২০১৩ ১০:২০ অপরাহ্ণ

BOGRA 04-11-13শওকত আলী গুলবাগী :  নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবিতে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা তিন দিনের হরতালের প্রথম দিনেই বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চল অচল হয়ে পড়েছে। কোনধরনের যানবাহন রাস্তায় বের হয়নি। দোকানপাট বিপনী সহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। হরতালের পিকেটিং-এ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। ১৮ দলীয় জোটের দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে এই অঞ্চলের গ্রাম-গঞ্জের হাজার হাজার মানুষ লাঠি হাতে রাজপথে বিক্ষোভ  মিছিল করেছ্ ে। শহরের প্রানকেন্দ্রে (জিরো পয়েন্ট) সাতমাথায় বিশাল সমাবেশ করেছে ১৮দলীয় জোট ।

Shamol Bangla Ads

এদিকে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা তিনদিনের হরতালের প্রথম দিনে সোমবার সকাল ৭টায় হরতালের সমর্থনে শহরের খান্দারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী  ছাত্রশিবির। তারা খান্দার বাজারে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এরপর শহরের ঝোপগাড়ী এলাকায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এর কিছুক্ষণ পর শহরের নবাববাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে যুবদল, মহিলা দল ও ছাত্রদল কর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল বের করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রশিবির শহরের শেরপুর রোডে একটি বিশাল লাঠি মিছিল বের করে। মিছিলটি কলোনীর দিকে যাওয়ার সময় শিবির-পুলিশ মুখোমুখি হলে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে, শেষ পর্যন্ত কোন সহিংস ঘটনা ঘটেনি।

বেলা সোয়া ১২ টার দিকে জজ আদালতের দক্ষিন পার্শ্বে আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠের দিক থেকে কে বা কারা পরপর ২টি ককটেল নিক্ষেপ করে আদালত ক্যাম্পসে। ককটেল ২টি আদালতের বারান্দার সামনে বিস্ফোরিত হলে সেখানে দাড়িয়ে থাকা আইনজীবি (এজিপি) আব্দুস সালেক(৫০) আহত হন। ককটেলের স্পি­ন্টারের আঘাতে তার ডানপেটে জখম হয়। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনার পরপর আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেখানে যাতায়াতকারীদের দেহ তল­াশী করে পুলিশ।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টায় শহরের থানা মোড়ে ডিউটিরত পুলিশকে লক্ষ করে একটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ককটেলটি বিস্ফোরন ঘটলেও কেউ আহত হয়নি। জেলার শাজাহানপুর উপজেলার নয় মাইলে দু’টি ট্রাক ভাংচুর করেছে পিকেটাররা। ওই ট্রাকের চালক সামান্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় হরতালকারীরা বগুড়া –-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করে। শহরের মাটিডালী বিমান মোড়ে হরতালের সমর্থনে মিছিল করে ১৮ দল। হরতাল চলাকালে সকালে মহাস্থানে একটি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিকেলে ১৮ দলের উদ্যোগে শহরের জিরোপয়েন্ট সাতমাথায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির জেলা সভাপতি ও ১৮ দলীয় জোটের আহŸায়ক ও ভিপি সাইফুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, জাগপা সভাপতি আমির হোসেন মন্ডল, ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারন সম্পাদক মুফতি আব্দুল ওয়াহেদসহ ১৮ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ থেকে নির্দলীয় সরকারের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেয়া হয়।
হরতালে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ-র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সাথে বিজিবির কড়া নজরদারী টহল অব্যাহত ছিল ।
এদিকে, হরতালের আগে থেকে  পুলিশ সুপার ও পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশের প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ন স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স¤প্রতি পুলিশ সুপারের অফিস ও বাসা , সদর থানা , অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদের বাসা সহ বিভিন্ন স্থ্াপনা ও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে দূবৃত্তদের ককটেল বিষ্ফোরনের পর অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বিকালে শহরের মূলকেন্দ্র সাতমাথায় বিএনপি সভাপতি সাবেক ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
আমাদের শেরপুর প্রতিনিধি জানান, বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ঘন্টা হরতালের সমর্থনে পৌরশহরের ধুনটমোড় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ চলাকালে ছাত্রদলের দুই গ্র“পের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স¤প্রতি উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে দলের উপজেলা সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায়  হরতাল চলাকালে বেশ কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকর্মী ওই ইউনিয়নের নবগঠিত কমিটির তালিকাতে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমানকে স্বাক্ষর করতে বলেন। এসময় ওই ছাত্রদল নেতা উক্ত কমিটি সভাপতির পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে তৈরীকৃত বলে অভিযোগ করে তাতে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থক ও সাধারণ সম্পাদকসহ তার সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরে বিএনপির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কমিটি গঠন নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।  আর এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে সামান্য বাকবিতণ্ডতা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এমনকি মুহুর্তেই তা সমাধান হয়েছে বলে এই ছাত্রদল নেতা দাবি করেন।
অপরদিকে  এ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে দলের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ দু’একদিনের মধ্যেই আলোচনায় বসবেন। তাই এ মুহুর্তে উক্ত ঘটনার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে, বেলা ১০টার দিকে শহরের ধুনটমোড় এলাকা থেকে ১৮দলীয় জোটের ব্যানারে হরতালের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কেএম মাহবুবার রহমান হারেজ, বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান, জামায়াত নেতা মাওলানা মানছুরুর রহমান, আফসার উদ্দিন আহমদ, দবিবুর রহমান, যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম আরফান, আসফদ্দৌলা মামুন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া হরতালের সমর্থনে স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ড থেকে বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জানে আলম খোকার নেতৃত্বে ১৮দলের আরেকটি পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে বিএনপি নেতা পিয়ার হোসেন পিয়ার, আরিফুর রহমান মিলন, হাসানুল মারুফ শিমুল, যুবদল নেতা শাহাবুল করিম, আবু রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলার সকল উপজেলায় সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়েছে।
এসব এলাকায় ১৮দলীয় জোটের নেতাকর্মিদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাধারন মানুষ হরতালের সমর্থনে রাজপথে নেমে এসেছেন। বিভিন্ন স্থানে সাধারন মানুষ নিজেদের উদ্যোগে রাস্তা অবরোধ করে হরতাল পালন করেছেন বলে জানাগেছে। বিশেষ করে মহাস্থান, মোকামতলা, দুপচাঁচিয়া, শেরপুর এবং শাজাহানপুর এলাকায় সাধারন মানুষের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন ছিল লক্ষ্য করার মত।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!