শ্যামলবাংলা ডেস্ক : কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ড. মুহাম্মাদ মুরসির বিচার কার্য শুরু হয়েছে । ৪ নভেম্বর সোমবার প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির করা হয়েছে তাকে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রসিডেন্ট থাকাকালীন মুরসির দপ্তরের বাইরে সহিংসতা ও হত্যাকান্ডের অভিযোগে আদালতে হাজির করে দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার।
সংক্ষিপ্ত শুনানি শেষে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মূলতবি করা হয়েছে। ওদিকে, মুরসিকে আদালতে হাজির করার পরই পুলিশ একাডেমির বাইরে জনগণ মিশরের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। রাজধানী কায়রোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হাইকোর্ট ও দক্ষিণে অবস্থিত সাংবিধানিক আদালতের বাইরেও জনগণ বিক্ষোভ করেছে।
বর্তমান সরকারের আদালত বৈধ নয় মন্তব্য করে মুহাম্মাদ মুরসির ছেলে ওসামা মুরসি বলেছেন, তারা এ শুনানিতে অংশ নেবেন না। তিনি অভিযোগ করেন, তার বাবাকে অপহরণ করে পণবন্দি করে রেখেছে সেনাবাহিনী। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসি নিজেও তার বিচারকে অবৈধ ঘোষণা করে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কোনো আইনজীবী না রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি নিজের পক্ষে নিজেই বক্তব্য রাখবেন। তবে অবৈধ আদালত কী প্রক্রিয়ায় তার বিচার করে শুধুমাত্র তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইখওয়ানুল মুসলিমিনের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের একটি প্যানেল আদালতে উপস্থিত থাকবে।
গত ৩ জুলাই সামরিক অভ্যুত্থানে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সেদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি। তারপর থেকে মুরসিকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
