মো.মহসিন মাতুব্বর আমতলী (বরগুনা) : ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও নবগঠিত বরগুনার তালতলী উপজেলার বগীর হাট থেকে তালতলী বাজার পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি আজো পাকাকরণ করা হয়নি। ছোটবগী বাজার থেকে কমডেকা স্কুল হয়ে গাব-বাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত নামে মাত্র কিছু অংশ পাকাকরণ করা হলেও তালতলীর সিলবারতলীর এ সড়কটির বাকি পথ সম্পূর্ণ আজো কাঁচা রয়েছে। জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন এলে জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য বার বার আশ্বাস দেয় প্রার্থীরা। নির্বাচিত হওয়ার পর কোনো সংসদ সদস্যই আর খোঁজ রাখেন না।
এমনকি স্থানীয় চেয়ারম্যানও কোনো খোঁজখবর রাখে না বলে এলাকাবাসী জানায়।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ দেখা যায়। গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটিতে প্রতিদিন জনসাধারণসহ স্কুল-কলেজের শত শত ছাত্রছাত্রী চলাচল করছে।
বর্ষা মৌসুম এলে জনসাধারণকে হেঁটে কাদা মাটি দিয়ে উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হয়। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীর পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
উপজেলা সদরসহ হাট-বাজার ও স্কুল-কলেজে আসার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ কর্দমাক্ত সড়কটি। এ রাস্তাটির গাব-বড়িয়া থেকে তালতলী ডিগ্রি কলেজ পর্যন্ত ৬ কিমি কাঁচা রাস্তা।
এ রাস্তাটি বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত মেরামতের কাজ শুরু হয়ে কিছু দূর গিয়ে অদৃশ্য কারণে আবার বন্ধ হয়ে যায়। তাই সিডর পরবর্তী ৪ বছরেও মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় রাস্তা ভেঙে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার ওপর পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে জন-সাধারণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, বর্ষা মৌসুমে তাদের গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা সদরে নিতে হলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এসব এলাকায় প্রচুর মাছ ও কৃষিপণ্য থাকা সত্তে¡ও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তারা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে আর্থিক দৈন্যদশায় জীবনযাপন করতে হচ্ছে এ ক্ষুদ্র কৃষকদের।
এ বিষয় উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।