ইয়ানুর রহমান : যশোরের ঝিকরগাছার আশাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্ত্রী নারগিস খাতুনকে বেড়ানোর নাম করে নিয়ে ভারতের মুম্বাই পতিতালয়ে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নারগিসের মা পারুল বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে মণিরামপুর উপজেলার জলকাররহিতা গ্রামের নুরুন্নবী চৌধুরীর মেয়ে নারগিস খাতুনের বিয়ে হয় ঝিকরগাছা উপজেলার কীর্ত্তিপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ গাজীর ছেলে আশাদুল ইসলামের সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর প্রতারক স্বামী আশাদুল স্ত্রী নারগিস খাতুনকে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে ভারতে পাচার করে মুম্বাই শহরের একটি পতিতালয়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়।
এরপর নারগিস খাতুনকে আটকে রেখে পতিতালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায় গত ১৬ অক্টোবর নারগিস খাতুন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার মা পারুল বেগমকে ঘটনা খুলে বলে। এরপর পারুল বেগম তার জামাতা আশাদুলের বাড়িতে মেয়ের খোঁজ নিতে আসলে তার পরিবার এঘটনায় বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি প্রদান করে। শেষমেশ পারুল বেগম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঝিকরগাছা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (জেডিও) ও রাইটস যশোরের সাথে যোগাযোগ করে থানায় মামলা করেন।
ঝিকরগাছা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (জেডিও) নির্বাহী পরিচালক মনিরুজ্জামান জানান, পাচার হওয়া নারগিস খাতুন মুম্বাইয়ের পতিতালয় থেকে উদ্ধার হয়ে বর্তমানে ভারতীয় প্রশাসনের জিম্মায় আছে। আইনের জটিলতা কাটিয়ে তাকে খুব শিগগির দেশে আনার ব্যবস্থা করা হবে।
